rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ দেখতে পুরোপুরি একটি বাইসাইকেল কিন্তু আসলে একটি মোটরসাইকেলও সেটি। আর বাইসাইকেলকে রীতিমতো মোটরসাইকেলের রূপ দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরিশাল গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা ও ওয়ার্কশপ মেকানিক ৬৩ বছর বয়সি আব্দুর রাজ্জাক।
গিয়ারবক্স, সাইলেন্সার, প্লাগ, চেইন স্পোকেট, ব্রেকিং সিস্টেমসহ তেলের ট্যাংকিও রয়েছে সাইকেলটিতে। এককথায় একটি মোটরসাইকেলে যা প্রয়োজন তার সবকিছুই সংযোজন করা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের বাইসাইকেলে।
জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক যে পুরাতন বাইসাইকেলটিকে মডিফাই করা হয়েছে সেটি কেনা হয়েছিলো মাত্র ৩ হাজার টাকায় এবং ইঞ্জিন ক্রয় করেছিলেন সাড়ে ১৮ হাজার টাকায়। । আর দুটি সাইকেল ভেঙ্গে বানানো এ ডুয়েট সাইকেলটি বানাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যার তেল শেষ হয়ে গেলে প্যাডেল দিয়ে চালনা করাও সম্ভব, আবার ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে ১ লিটার তেলে ৬০ কিলোমিটারও চলতে পারে মোটরসাইকেলটি।
আর স্থানীয়দের মতে, সাইকেলটি বানিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ৬৩ বছর বয়সী এ মেকানিক প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স কোনো বাধা নয়।
বয়োজ্যেষ্ঠ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছোটবেলা থেকেই বাইসাইকেল চালাতে ভালোবাসতেন তিনি। তবে বয়স বাড়ার কারণে সাইকেল চালাতে কষ্ট হওয়ায়, প্রথমে ব্যাটারি ও মোটরের সংযোজন করেছিলেন তার বাইসাইকেলে। কিন্তু ব্যাটারির দামসহ আনুষঙ্গিক খরচ পুষিয়ে না উঠতে পারায় সেটিকে মোটরসাইকেল বানানোর চিন্তা করেন। আর সে চিন্তা থেকেই বাইসাইকেলটিকে আধুনিকায়ন করে তেলের ট্যাংকি বসান এবং সাসপেনশনেও আধুনিকায়ন করেন। পরে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনসহ আনুষঙ্গিক সবকিছুর সংযোজন ঘটনা।
তিনি বলেন, এটার সুবিধা হচ্ছে, মোটরসাইকেলের মতো ভারী না হওয়ায় তেল শেষ হয়ে গেলেও বাই সাইকেল হিসেবে প্যাডেল দিয়ে চালিয়ে আসা যাবে। আর সড়কে চলতে কোনো ধরনের বিপাকে পড়তে হয় না, বাধাহীন যেখানে খুশি সেখানে যাওয়া যায়। আর এটা বানানোর পর ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সবাই যেমন খুশি, তেমনি দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমাকে ও সাইকেলটিকে দেখতে প্রতিনিয়ত আসেন এখানে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কম পয়সার মোটরসাইকেল অনেকেই বানাতে চান, সময় দিলে বানানো সম্ভব। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মোটরসাইকেল বানানোর পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিকারী আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী গৌরনদীর সুন্দরদী মহল্লার মৃত. আ. গফুর বেপারীর ছেলে।