rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114মাছের এলাকাখ্যাত পিরোজপুরে কাউখালীতে মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রমজান মাসে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছা করে মাছ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। প্রশাসন যখন অভিযান করে তখন দাম কিছুটা নাগালে ভেতরে থাকে। সরকারের বেধে দেয়া মূল্য ব্যবসায়ীরা মানছে না।
সরেজমিনে কাউখালী হাটের দিনে মাছের বাজারে দেখা গেছে, সাধারণ ক্রেতারা মাছ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অনেকে আবার মাছ না কিনে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছ থাকলেও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো ক্রেতাদের এক প্রকার বাধ্য করে অতিরিক্ত দামে মাছ বিক্রি করছে। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা, মরমা মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, শলা চিংড়ি ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, পোমা মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, কোরাল মাছ ৬৫০ টাকা, তাপসি মাছ ৭০০ টাকা, ডেলা মাছ ৪০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া সামুদ্রিক মাছ অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী ও সাইদুল হোসেনের সাথে তারা বলেন, ‘আমরা যে দামে মাছ ক্রয় করি তার চেয়ে সামান্য লাভে আমরা মাছ বিক্রি করি। বাজারে চাহিদার চেয়ে মাছের সরবরাহ কম তাই মাছের দাম একটু বেশি।’
হাটে মাছ কিনতে আসা মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বাজারে যদি নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে মাছের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভেতরে চলে আসত।’
দিনমজুর শুকুর আলী বলেন, ‘আমাদের পক্ষে বর্তমান বাজারে মাছ কিনে খাওয়া সম্ভব না, আমরা শুধু দেখেই যাব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যদি কোনো ব্যবসায়ী ইচ্ছে করে অতিরিক্ত দামে মাছ-সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’