rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশপথ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। সারাদেশের অন্য মহাসড়কগুলোতে একাধিক লেন থাকলেও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এক লেন-বিশিষ্ট। এই মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে ধীরগতির অবৈধ যানবাহন। এছাড়া মহাসড়কের একাধিক স্থানে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এতে একদিকে মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকছে, অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ভোগ। অপ্রশস্ত ও ভঙ্গুর মহাসড়কে সীমাহীন গতির যানবাহনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অগণিত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, এ মহাসড়কের রাজৈরের টেকেরহাট থেকে মুকসুদপুরের ছাগলছিড়া নামক স্থান পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যানজটে ঠাসা। এতে দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো যাত্রী।
যাত্রীদের অভিযোগ, মহাসড়ক সরু এবং ধীরগতি সম্পন্ন অবৈধ যানবাহন যেমন চলছে, আবার দ্রুত গতির যানবাহনও সমানে চলছে। এ কারণে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে এবং এতে যাত্রীদের যেমন কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, তেমনি দুর্ভোগও বাড়ছে। এ মহাসড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, বরিশাল থেকে মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ হয়ে ফরিদুপরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এ মহাসড়কটি মাত্র ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রস্থ। এর মধ্যে অনেক স্থানে মহাসড়কটির অবকাঠামোগত অবস্থা নড়বড়ে। ১৯৬০-৬৫ সালের দিকে মাত্র পাঁচ টন বহন ক্ষমতার ১২ ফুট প্রস্থের মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়। বিগত ৬০ বছরে দুই পাশে আরো ছয় থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত করা হলেও বহনক্ষমতা আর বাড়েনি। অথচ যানবাহনের চাপ বেড়েছে বহুগুণ। এর সঙ্গে বেড়েছে দুর্ভোগও।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্রমতে, ২০১৫ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কটি ছয়লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণে সরকার অর্থ ছাড় করে। পাশাপাশি প্রস্তাবিত ছয়লেন মহাসড়কের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। কিন্তু পরামর্শক চূড়ান্ত নকশা জমা দিলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ২০২০ সালে নির্ধারিত থাকলেও ২০২৪ সালে এসেও তা আলোর মুখ দেখেনি। একইসঙ্গে দাতার অভাবে প্রকল্পটি স্থবির অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে এ মহাসড়কটি ছয়লেনে উন্নীতকরণের কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। অথচ এই অপ্রশস্ত ও নড়বড়ে মহাসড়কে সীমাহীন গতির যানবাহনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অগণিত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু সড়ক প্রশস্ত হয়নি। সরু সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করছে। ফলে প্রতিনিয়ত যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি ফোরলেনে উন্নীত করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মারুফ রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য কাজ করছি।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সড়ক প্রশস্থকরণ কাজ শুরু করা যাবে। এরই মধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণে কারা অর্থায়ন করবে সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শিগশিরই সড়কটি চারলেন করা হবে।