rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের (পুরাতন বাজার) তরকারি বাজার সংলগ্ন খালের ওপর ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয় প্রায় ৮ মাস আগে। কিন্তু সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় কোনো উপকারে আসছে না জনগণের। বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ হাজারো মানুষকে যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে সেতু নির্মাণের পরও যাতায়াতে দুর্ভোগ কাটেনি এলাকাবাসীর।
বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, সেতু নির্মাণ হওয়ায় তাদের আশা ছিল ভোগান্তি দূর হবে। কিন্তু এখন উল্টো তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। মাটির রাস্তা দিয়ে সেতুতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় শিশুরা ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ কারো সাহায্য ছাড়া সেতুতে উঠতে পারছে না। আবার কারো সাহায্য নিয়ে পার হতেও খুব কষ্ট হয়। সেতুর দুই পাড়েই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিস।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেড় কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও এর সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। ফলে কাঁচাবাজারে মালামাল নিয়ে অনেক দূরের পথ ঘুরে কষ্ট করে আসতে হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। খালটির উভয় পাশে রয়েছে পিচঢালা পাকা রাস্তা কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় ক্রেতারা বাজার করে রিকশা বা ভ্যানে চড়ে বাড়ি যেতে পারছেন না। চলাচলের যোগ্য পুরাতন সেতু ভেঙে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের শুরু থেকে প্রায় দুই বছর ধরে এ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ভুক্তভোগী শিক্ষক ছগির মৃধা বলেন, সেতুটির দক্ষিণ পাড়ে কাঁচাবাজারসহ উভয় পাড়ে স্থায়ী মার্কেট থাকায় এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেতুটি পারাপার হচ্ছেন। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
বাজারে আসা উপজেলা সদরের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, সেতু নির্মাণের দুই বছর পার হলেও এখনো তৈরি হয়নি সেতুর দু’পাশে চলাচলের রাস্তা। এতে সেতুর সুবিধা পাচ্ছেন না দুই পারের কয়েক হাজার মানুষ।
ভ্যানচালক জমির উদ্দীন বলেন, এ রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে খুবই কষ্ট হয়। এত টাকার সেতু এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে।এ বিষয়ে সেতুটির ঠিকাদার রেজাউল করীম (জিএস জাকির) বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর ডিজাইনের প্রয়োজন রয়েছে। ডিজাইন পেলেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে।