Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধর, আহত সাংবাদিকের মৃত্যু - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধর, আহত সাংবাদিকের মৃত্যু


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ০৩, ২০২৪ ৭:২১ অপরাহ্ণ প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধর, আহত সাংবাদিকের মৃত্যু
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনার প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তালুকদার মাসউদ নামের এক সাংবাদিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সাংবাদিক মারা যান।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় তালুকদার মাসউদ হামলার শিকার হন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিহত সাংবাদিক নলটোনা ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের আবদুল ওয়াহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকা ও রাজধানী টেলিভিশন নামের একটি আইপি টিভির বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।

নিহত ইউপি সদস্য তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ ও তাঁর ১০–১২জন সহযোগী মিলে হামলা চালিয়ে আহতাবস্থায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাছরাঙা টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি মুশফিক আরিফ বলেন, ‘প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিস রুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে মাসউদকে তালাবদ্ধ করে রাখে। সেখানে মাসউদকে তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রায় এক ঘণ্টা জিম্মি করে নির্যাতন করা হয়। পরে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালুকদার মাসউদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।’

নিহত তালুকদার মাসউদের মেয়ে সাদিয়া তালুকদার তন্নি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে আমার বাবা ভিডিও বার্তায় বলে গেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার অফিসরুমে বসে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে দৈনিক ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি কাশেম হাওলাদার, এনটিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলাম মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে হামলা চালিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।’

তন্নি বলেন, ‘আমার বাবাকে ওরা প্রেসক্লাবে আটক রেখে হামলা করে হত্যা করেছে। আমি আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বরগুনা সদর থানার ওসি আবুল কাসেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলা থেকে তালুকদার মাসুদ নামের এক সাংবাদিককে আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাই। গতকাল রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। মামলা হওয়ার পর আমরা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।’