rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭ দশক হতে চললো বিদ্যালয়টির। তবে সরকারি কোনো অনুদানের মুখ দেখেনি। অবশেষে ২০২১ সালে চারতলা ফাউন্ডেশনের একটি একতলা ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩২ হাজার ২২১ টাকা। ওই বছরের মার্চে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। পরীক্ষামূলক পিলার ছাড়া চার বছর পেরিয়েও আর কোনো কাজই হয়নি।
বলা হচ্ছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার গুয়ারেখা ভরতকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কথা। ১৯৫৬ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের কারণে সুনাম রয়েছে আশপাশের এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, একতলা একটি টিনশেড আধাপাকা দালান ও দুইটি কাঠের ঘরে চলে বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম। ওই তিনটি ঘরের মধ্যে একটিতে আবার আবাসিক ছাত্রীদের থাকার জায়গা ও শৌচাগার। একটি ঘরে চলে প্রশাসনিক ভবন কার্যক্রম। অপর কাঠের ঘরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে পড়ছে দেড় শতাধিক ছাত্রী।
এখানে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক পলাশ কুমার মৈত্র বলেন, একটি পুরাতন টিনশেড ঘরে পাঠদান করেন। এখানে বর্ষায় পানি পড়ে মেঝে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বাড়ে সাপ আতঙ্ক। শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চার বছর আগে একটি ভবন বরাদ্দ হয়। তবে এখনও কাজই শুরু হয়নি। বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে।
ঝড়-বৃষ্টির সময় আতঙ্কে থাকতে হয় জানিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম শেখ বলেন, প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরে কোনো সরকারি বরাদ্দ আসেনি। এখানেই ছাত্রীদের আবাসন জায়গা রয়েছে। তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের চেষ্টায় চারতলা ফাউন্ডেশনের একটি একতলা ভবন বরাদ্দ হয়। তিন বছর আগে টেন্ডার হয়েছে। ২০২৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ ম রেজাউল করিম নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এখনও ভবনটি নির্মিত না হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
পিরোজপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামও বিদ্যালয়ের কাজের টেন্ডারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বিস্তারিত জানতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
জিয়াউল হাসানের কাছ থেকে জানা যায়, পিরোজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিরন এন্টারপ্রাইজকে ২০২১ সালের ১০ মার্চ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩২ হাজার ২২১ টাকা। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি একটি টেস্ট পিলার গেঁথে তিন বছর ধরে কাজ ফেলে রেখেছে।
ৎতিনি আরও বলেন, একাধিকবার চিঠি দিয়ে তাগাদা দেওয়া হলেও তারা গাফিলতি করছে।
আমিরন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. রফিক গাজীর ভাষ্য, ‘কাজের টেন্ডারের পরপরই নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায়। তা ছাড়া আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সময় মতো কাজ করতে পারিনি।’