বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনার বাজারে মিলছে আগাম জাতের তরমুজ, তবে দাম একটু বেশি। কয়েকদিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে বলে মনে করছেন পাইকারি বিক্রেতারা।
এখানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি তরমুজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বরগুনা পৌরসভার ফল বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে আগাম জাতের তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বরগুনা জেলার বিভিন্ন চর এলাকা থেকে বাজারে উঠতে শুরু করছে গরম মৌসুমের লোভনীয় ফল তরমুজ। বছরের পুরো সময়জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের রাজত্ব থাকলেও গরম মৌসুমে ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে তরমুজ।
ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেন বিক্রেতারা।
পৌর বাজারের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা ইউসুফ বলেন, এক দামে তরমুজ বিক্রি করি। আগাম জাতের তরমুজ তাই বেশি দামে পাইকারি কিনে খুচরা দরে বিক্রি করি। আমরা যারা খুচরাবিক্রেতা তাদের বেশি লাভ হয় না। তবে তরমুজের দাম বেশি হলেও নির্দিষ্ট মৌসুমের আগে পাওয়া যাচ্ছে এটাই বড় কথা। অনেক ক্রেতাই তরমুজ কিনে নিয়ে যায় কারণ সামনে মাহে রমজান।
বরগুনা পৌর এলাকার আড়তদার আল-আমিন বলেন, জেলার বিভিন্ন চর অঞ্চলের কৃষকেরা একটু বাড়তি লাভের আশায় আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেন। আগাম জাতের তরমুজ চাষে অনেক ঝুঁকিও থাকে। এরপরও চাষ করেন অনেকে বাড়তি দামের আশায়। আমরা তাদের থেকে কেজি দরে কিনে আনি এবং কেজি দরে বিক্রি করি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। অন্যান্য সবাই বিক্রি করছে তাই আমিও বাধ্য হয়েছি।
পৌর এলাকার বাসিন্দা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আকরাম উদ্দিন বলেন, মায়ের জন্য তরমুজ কিনছি ৭০ টাকা কেজি দরে। ঢাকাতে দেখছি আগে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হয়। এখন বরগুনাতে তরমুজ বিক্রি হয় তাও আবার স্থানীয় তরমুজ।
সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী লিটন মির্জা বলেন, বরগুনার চাষিদের তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এটা তো ভালো কথা। স্থানীয় তরমুজ স্থানীয় বাজারে তবে দাম এত বেশি কেন! একই দামে অন্যান্য জেলাগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে আগাম জাতের তরমুজ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনার সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, বাজারে মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ এসেছে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে আমি জেনেছি। তবে কেজি দরে বিক্রি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।