rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনায় সাংবাদিক হত্যা মামলার এক সপ্তাহেও কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করছে নিহতের পরিবার। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সন্তানদের নিয়ে নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদের স্ত্রী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় নিহতের পরিবার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তালুকদার মাসউদের স্ত্রী ও মামলার বাদী সাজেদা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকার পরেও আমার স্বামীর হত্যাকারীদের এখনো পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ভোলায় কর্মরত বরগুনার তালতলী উপজেলার বিতর্কিত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও বরগুনার চরকলোনি এলাকার বাসিন্দা, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আসামিদের শেল্টার দিয়ে পালিয়ে থাকতে সহায়তা করছে।’
সাজেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘আসামিরা যেসব গণমাধ্যমে এখনও কর্মরত, সেই গণমাধ্যমগুলোও অপরাধ ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। কারণ তারা আমাদের এই ঘটনা নিয়ে কোনো খবর তো প্রকাশ করেইনি, উল্টো এখনো তাদের বহাল রেখে আমাদের ন্যায়বিচার পেতে অসহযোগিতা করছে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের জেলার অভিভাবক। আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাই-আমার স্বামীর হত্যাকারীরা কার ছত্রচ্ছায়ায় আছে। আমার সন্তানেরা আমাকে প্রশ্ন করে-বাবা হত্যাকারীরা এখনো কীভাবে ফেসবুকে নানা উল্লাসের ছবি ছাড়ছে। আমাদের দেশে তো অনেক প্রযুক্তি, আমার বাবার হত্যাকারীরা ধরা পরছে না কেন?’
পুলিশ সুপারের উদ্দেশে নিহতের স্ত্রী জেসমিন বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন কি এতই দুর্বল যে একজন আসামিকেও তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যে দিন আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, সেই দিন আমার কাছে ২০ লাখ টাকা দিয়ে সমঝোতার জন্য তারা লোক পাঠিয়েছিল। এখনো প্রতিদিন প্রেসক্লাবের লোকজন আমাকে টাকার বিনিময়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেয় এবং সমঝোতায় না গেলে সমস্যায় ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে ভয়ে আছি। আপনি আসামিদের গ্রেপ্তার করে আমাদের সুরক্ষা দিন।
বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এসে তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ-খবর নেন এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে নিহত তালুকদার মাসউদ পরিবার অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত করে। এ সময় নিহতের স্ত্রী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক মারা যাওয়ার ঘটনায় মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তার পরিবারের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখেছি। মামলার আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনবে। স্মারকলিপি পেয়েছি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, ‘সাংবাদিক মাসউদ তালুকদার হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে তালুকদার মাসউদকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।’