rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ চলমান দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন, মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে নিয়ে গণমান ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সোহাগ মিয়ার ঘরে উত্তরপত্র তৈরির সময় দুইজন মৌলভীকে আটক করেছেন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার উত্তরকরফা হানিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও পাটিকেল বাড়ির দরগা শরীফ দাখিল মাদ্রাসার দুইজন সহকারী মৌলভী আকাইদ ওফিকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মোবাইলে নিয়ে উত্তরপত্র তৈরি করার সময় কেন্দ্রটির পশ্চিম পাশের সোহাগ মিয়ার ঘর থেকে আটক হন।
আটককৃতরা হলেন উত্তর করফা হানিফিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওলানা আকবার হোসাইন এবং পার্টিকেলবাড়ি দরগা শরীফ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোহাম্মদ হান্নান মিয়া।
গণমান ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০ ও ১১ নং কক্ষে সপ্তগ্রাম মহিলা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোঃ শহিদুল ইসলাম ও ব্যাসকাঠি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোসাম্মৎ নাসিমা কক্ষ পরিদর্শক এর দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষার শুরুতেই সপ্তগ্রাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুরজাহানকে দেওয়া প্রশ্নটি এই দুই সহকারী মৌলভী কক্ষে প্রবেশ করে মোবাইলে ধারণ করেন।
পরে পরীক্ষা কেন্দ্রটির পশ্চিম পাশে সোহাগ মিয়ার ঘরে বসে উত্তরপত্র তৈরি করছিলেন এমন সংবাদে গঠনস্থলে হাতেনাতে তাদের আটক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই সহকারী মৌলভী কে আটক করে নেছারাবাদ থানায় রাখা হয়েছে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের ১০ ও ১১ নং কক্ষের পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম মেম্বার ও মোসাম্মদ নাসিমাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্ষ পরিদর্শক নাসিমা জানান , ১৫ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১৪ টি প্রশ্ন প্রেরণ করা হয় তখন একটি প্রশ্ন আনার জন্য সুপারের নিকট যাই তখন মৌলভী শহিদুল ইসলাম কক্ষে ছিলেন। সুপার ওই প্রশ্নটি পুনরায় কক্ষে প্রেরণ করেন। প্রশ্ন নিয়ে জটিলতার এই সময়ে অভিযুক্ত মৌলভীদ্বয় নুরজাহান নামের সপ্তগ্রাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর প্রশ্নটি মোবাইলে ধারণ করে নিয়ে যান যা আমি দেখিনি। একই মন্তব্য করেন অপর কক্ষ পরিদর্শক সপ্তগ্রাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোঃ শহিদুল ইসলাম (মেম্বার)।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সুপার জানান, মোবাইলে প্রশ্নপত্র ধারণ করা দুই মৌলভী আজকে পরীক্ষার কোন দায়িত্বে ছিলেন না। তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে অনাধিকার প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্ন পত্রটি মোবাইলে ধারণ করেছেন। কক্ষ পরিদর্শক দুজনকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত প্রদান করা হয়েছে এবং মোবাইলে ধারণ করা প্রশ্নপত্র সহ উত্তরপত্র তৈরি করা দুই মৌলভীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাতেনাতে আটক করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঠোফোনে জানান, যেহেতু এসএসসি ও দাখিল সমমানের পরীক্ষা চলমান এবং বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই কেন্দ্র সুপার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষা বোর্ডের সাথে সমন্বয় করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।