rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ মাছে ভাতে বাঙালী। ৩ বেলা খাবারেই ভাতের সঙ্গে খেতে হয় বিভিন্ন প্রকার তরকারি। আর এসব তরকারী রান্না করতে প্রয়োজন হয় মসলা। এই মসলা পিশানোর জন্য প্রয়োজন শিল পাটা। দৈনন্দিন এই শিল পাটার বিকল্প নেই। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাইন্ডার মেশিন ও ব্যালেন্ডারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় বিলুপ্তর পথে বসেছে শিল পাটা।
আবার এই শিলপাটা ধার করে সংসার চালাতো অনেকে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পায়ে হেঁটে অলিতে গলিতে হাতুড়ি, বাটাল আর ছেনিথ ওইসব জিনিসের সাহায্যে ঠুকে ঠুকে করতো শিলপাটার ধার দেয়ার কাজ। এমন এক দৃশ্য আর দেখা যায় না।
বর্তমানে শিলপাটার কদর না থাকায় এ পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে তারা।
উপজেলার ৭৬ বছর বয়সী মৃত হোচেন মাঝির স্ত্রী কুরছি বেগম বলেন, গ্রামীণ সমাজের প্রত্যেক ঘরে ঘরে শিলপাটা ছিল রান্নার মসলা বাটার জন্য ডিজিটাল যুগের ছোঁয়ায় এখন মেশিনেই তৈরি হয় হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, গরম মসলা। শিলপাটার ব্যবহার এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।
একই গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আনোরার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মিল কারখানার কারণে ধীরে ধীরে কমতে থাকে শিলপাটার ব্যবহার। এই অঞ্চলে শিলপাটা এখন বিলুপ্তির পথে। সবাই এখন প্যাকেট মসলা কিনে ও ব্যালেন্ডার করে খায়। রান্নায় রসদ জোগানো বিভিন্ন মসলা মিহি বা গুঁড়া করার জন্য এক সময় শিলপাটার বিকল্প বলতে কিছু ছিল না।
ঐ গ্রামের লিলি বেগম জানান, বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানে হলুদ বাটো মেন্দি বাটো….এইসব গান গাইতো আর শিলপাটা দিয়ে মেহেদি বাটতো। এছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভোজনবিলাসী গৃহিণীরা হরেক রকম স্বাদের মসলা বাটা করে দিতেন। কালের আর্বতনে ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক, বাঙালির সমাজ ব্যবস্থার পারিবারিক অঙ্গন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিলপাটার ব্যবহার।