আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

প্রধানমন্ত্রী কৃষিবান্ধব এবং কৃষকের আপনজন: পরিকল্পনামন্ত্রী


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২ ১:৪৩ অপরাহ্ণ প্রধানমন্ত্রী কৃষিবান্ধব এবং কৃষকের আপনজন: পরিকল্পনামন্ত্রী
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজ করি। এখানে আমি কৃষি প্রকল্পে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কারণ, ভবিষ্যতে কৃষি কাজের মাধ্যমেই আমরা দারিদ্র্য মোকাবিলা করব। প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদের সাপোর্ট দেন কৃষি প্রকল্প নিতে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কৃষকবান্ধব, তিনি কৃষকেরই আপনজন।

বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘স্ট্রেনদেনিং স্মল হোল্ডারস ফার্মস অ্যান্ড রুরাল এন্টারপ্রাইজ টু বেটার কপি উইথ ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন দ্যা ভালনারেবল হাওর রিজন অব বাংলাদেশ প্রজেক্ট’ নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হাওর আমার এলাকা, হাওরে আমার জন্ম। হাওরের পানি ও হিজল গাছের ছায়ায় ছোট থেকে বড় হয়েছি। বাঙালি জাতির আধুনিক সোপানের পথ কৃষি। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলা হচ্ছে। তবে মৌলিক বিপ্লব কৃষির হাত ধরেই হয়েছে।

তিনি বলেন, মাছ ধরা, ধান চাষ করা সবই আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রামের অংশ। অনেকে বলে হাওরের জীবন কষ্টের, আমি এই কথায় দ্বিমত পোষণ করি। কোনো জীবনই কষ্টের নয়, কষ্টের একমাত্র বিষয় হলো দারিদ্র্যতা। থাকা ও খাওয়ার নিশ্চয়তা পেলেই কষ্ট থাকার কথা নয়। এম এ মান্নান বলেন, বিলে মাটিকাটা প্রকল্প কীভাবে তৈরি হয় তা আমার জানা আছে। আষাঢ় মাসে আমরা সরকারি খরচে লাখ-কোটি মাছের পোনা ছাড়ি সরকারি জনগণের অর্থে। দুই তিন মাস পর সেই পোনাগুলো কার পেটে যায় কিভাবে বিলুপ্ত হয় জানি না। তবে কোন মহাজনের পেটে যায়, তা আমরা বের করতে পারি।

দারিদ্র্যতা নিরসনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মানুষের প্রাপ্যটা বুঝিয়ে দিলেই দারিদ্র্যতা নিরসন সহজ হবে। কারণ প্রকৃতি আমাদের পানি, বায়ু ও মাটি দিয়েছে। কিন্তু এগুলো দরিদ্র মানুষ পায় না, ফলে নিজেদের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয় না।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যতা মোকাবিলা করাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান সংগ্রাম। দারিদ্র্যতা মোকাবিলায় সামনের কাতার থেকে কাজ করবে আমাদের কৃষি। কৃষিকে ন্যায়ভাবে এগিয়ে নিতে হবে। কৃষিতে একটু নজর দিতে হবে। আমাদের সরকার কৃষি নিয়ে উদারভাবে কাজ করছে। দারিদ্র্যতা নিরসনে কৃষির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কৃষি কাজে নানা ভর্তুকি দিচ্ছে। শুধু সার ও বীজ নয়, কৃষির যান্ত্রিকীকরণেও ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালক ড. মো. বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।