ঠাকুরগাঁওয়ে সামান্য বাতাসেই ফেটে গেলো সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১ ১২:২২ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
সামান্য বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশাসন বলছেন, ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করা হবে। মাত্র দুই মাস আগে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝে পান জেলার ভূমিহীনরা। পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেও গত শুক্রবার রাতের সামান্য বাতাসের কবলে পড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে যায়। ফলে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেলার হরিপুর উপজেলার বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম দফায় গড়ে উঠা ১৩৩ টি ঘরের মধ্যে বেশ কয়েকটির। ঘর পাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন দুঃশ্চিতার ভাঁজ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাটল ধরা ঘরে থাকা যেন মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় ধরে বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) গ্রামে ১৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আর এসব ঘর ভূমিহীনদের মাঝে বুঝে দেয়া হয় গত ফেব্রুয়ারিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনেকটাই তড়িঘড়ি করে ঘরগুলো নির্মাণ ও মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার না করার কারণেই সামান্য দুর্যোগে ঘরের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব ফাটল ধরা ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে অনেকে। অন্যদিকে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সরকারের ঘর পাওয়া রফিকুল ইসলাম, সাবেরা খাতুন, দুলাল, সেলিমসহ অনেকে জানান, সামান্য বাতাসে বেশকয়েকটি ঘর ফেটে গেছে। ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে এসব ফাটল ধরা ঘরে থাকতে ভয় লাগছে। অনেকে ঘর ছেড়ে বাইরে থাকছে। আমরা ভূমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছিলাম কিন্তু এমন ঘর পেলাম যে ঘরে থাকা এখন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে আমাদেরকে ভালমানের ঘর তৈরি করে দেয়া হোক। আর যারা ঘর নির্মাণে অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি। ঘরগুলোতে ফাটল দেখা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল। তিনি জানান, সবকিছুই নির্বাহী কর্মকর্তা করেছেন। ঘরগুলো টেকসই না হওয়াকে ব্যর্থতা বলে স্বীকার করেন তিনি। হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান, প্রথম ধাপের কাজ ছিল বলেই তাড়াহুড়া করতে হয়েছে। অনিয়ম হয়নি দাবি করে ফাটল ঘরগুলো দ্রুতই মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।