আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:৪০ অপরাহ্ণ
Spread the love
কাউখালী সংবাদদাতা ॥
পিরোজপুরের কাউখালীতে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। হাসপাতালের সক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি রোগী আসায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। হাসপাতালে রোগীদের চাপ থাকায় বেশির ভাগ রোগীকে মেঝেতে ও অন্যান্য ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে গরমের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ড বানোনোর ফলে এখন সাধারন নারী ও পুরুষ ওর্য়াডে অন্য রোগী কম থাকায় সাধারন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে ডায়রিয়া রোগী। এতেও সংকুলান হচ্ছে না। বাড়তি বেড এনেও রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। রোগীদের বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ঝুঁকিমুক্ত হলেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ দিনে মোট ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার থেকে প্রতিদিনিই এখানে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।বেসরকারী হিসেবে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি হবে। বেশির ভাগ রোগি বেসরকারি হাসপাতালের তত্বাবাধনে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স বেবি রাণী সিকদার বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বেশি থাকায় আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। আমরা রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ-স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। গরমের কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। অতিতের যে কোন বছরের তুলনায় এবার ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেশি। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।