আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বরিশালে অতিরিক্ত ভাড়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রী


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ০৮, ২০২১ ২:৩৫ অপরাহ্ণ বরিশালে অতিরিক্ত ভাড়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রী
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

যাত্রীবাহী বাস ও লঞ্চে ভাড়া বাড়ানোর পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে বরিশাল নদী বন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোঁখে পড়ার মতো।

মাইনুল নামে বানারীপাড়া রুটের এক যাত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর আগে বরিশাল থেকে বানারীপাড়ায় বাস ভাড়া ছিল ৩৫ টাকা। তবে আজ নেওয়া হচ্ছে ৪৭ টাকা।

কামরুন নাহার নামে আরেক এক যাত্রী বলেন, ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো। এরপর ভাড়া বাড়ানোর জন্য যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো ধর্মঘটের ডাক দিলো। তাদের লোকসান পুষিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু আমাদের তো বেতন বা আয় বাড়েনি। আমরা সাধারণ মানুষই এ যাত্রাতেও বলি হলাম। কারণ আমাদেরই গন্তব্যে যেতে হবে এবং বাড়তি ভাড়াও দিতে হবে, নয়তো যেটুকু উপার্জন করছি সেটুকু হারাতে হবে।

তিনি বলেন, বরিশাল থেকে আগে ভুরঘাটার ভাড়া ছিল ৭০ টাকা আর এখন নেওয়া হচ্ছে ৮৬ টাকা। উপায় না থাকায় এ ভাড়াতেই যাত্রা করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবুল জানান, সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিলোমিটার প্রতি ১ দশমিক ৮০ টাকা বাড়িয়ে বর্তমানে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করা হয়েছে।

তবে বাস মালিকরা বলছেন, এতে অনেক রুটে খরচ পুষিয়ে উঠতে তাদের হিমশিম খেতে হবে।

এদিকে বরিশাল-ঢাকা রুটের এক পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. আনিছুর রহমান বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে নন এসি বাসে ৫০০ টাকার স্থলে ৬৫৫ টাকা এবং এসি বাসে ৮০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

অপরদিকে বাস ভাড়ার পাশাপাশি লঞ্চের ভাড়াও বেড়েছে। ভোলা-বরিশাল রুটের এমভি আওলাদ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, এই রুটে ভিআইপি ভাড়া ছিল ৯০ টাকা, এখন হয়েছে ১২০ টাকা এবং ডেকে ছিল ৭০ টাকা, এখন হয়েছে ৯০ টাকা। আর ভাড়া বাড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে সুপারভাইজারদের কথা কাটাকাটিও হচ্ছে।

তিনি জানান, সকালে ভোলা থেকে বেশি সংখ্যক যাত্রী নিয়ে এলেও, বরিশাল থেকে ফিরতি ট্রিপে তেমন যাত্রী হয়নি।

বরিশাল পাতারহাট ইলিশা রুটের লঞ্চ এমভি রাজপাখির স্টাফ সাইদুলও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে লঞ্চঘাটে তেমন যাত্রীর দেখা মেলেনি। মনে হচ্ছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘাটে আসছেন না।

এদিকে অভ্যন্তরীণ ছোট রুটের ভাড়া নিয়ে অভিযোগ না করলেও রাসেল হোসেন, আতিকুর রহমানসহ একাধিক যাত্রী জানান, যে হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তাতে বড় রুটে অর্থাৎ ঢাকায় যাত্রা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। এ রুটে যাত্রীদের কেবিন ভাড়া হিসেব ছাড়া বাড়ানো হয়েছে। এত ভাড়ায় মধ্যবিত্তরা মনে হয় না কেবিনে যেতে পারবে। ফলে বাসে যাওয়াই ভালো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে ডেকে আগে ভাড়া ছিল ২৫৫ টাকা, বর্তমানে হয়েছে ৩৫০, সিঙ্গেল কেবিন ছিল এক হাজার টাকা, যা করা হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকা। ডাবল কেবিনের ভাড়া ছিল দুই হাজার টাকা, যা হয়েছে আড়াই হাজার টাকা। সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর হিসেব অনুযায়ী ভিআইপি এবং সেমি ভিআইপি কেবিনের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। ডিজেলের মূল্য বাড়ার কারণে ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে এ সংগঠনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।