Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
শেবাচিমের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে বিস্ফোরণ। রোগীদের আর্তনাদ! - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

শেবাচিমের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে বিস্ফোরণ। রোগীদের আর্তনাদ!


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:২৮ অপরাহ্ণ শেবাচিমের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে বিস্ফোরণ। রোগীদের আর্তনাদ!
Spread the love
খান আব্বাস ॥
শেবাচিম হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে অক্সিজেন সেন্টারের লাইনে ঝালাই কাজ করতে গিয়ে গ্যাস লিক হয়ে আগুন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টা দিকে এই ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় কাজ করতে গিয়ে টেকনিশিয়ান আরিফ বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়। এছাড়া বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে রোগীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। সংবাদ পেয়ে হাসপাতালের নবনিযুক্ত পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহিন, ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আলী রুমিসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্স বৃন্দ ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সমস্যা সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা নেন। ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিগার সুলতানা জানান, ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে এক রোগীকে ইনজেকশন পুশ করছিলাম, হঠাৎ বিকট এক শব্দ হয় ওয়ার্ডের মধ্যে আগুন ও ধোঁয়া বের হয়। রোগীসহ আমরাও অনেক ভয় পাই। সূত্রে জানা যায়, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন রূপান্তরিত। চালু করার পূর্বে ওয়ার্ডে রোগীদের জন্য অক্সিজেন সেন্টার লাইন করা ছিল না। রোগীদেরকে ডায়ালাইসিস দেয়াকালীন সময় অক্সিজেন সেন্ট্রাল লাইনের কাজ চলছিল। ঢাকার ঠিকাদার এইচ এম ট্রেডার্সের তত্ত্বাবধায়নে কোম্পানির টেকনিশিয়ান (ওয়েল্ডার) আরিফ ও জুয়েল কাজ করার সময় অক্সিজেন গ্যাস সিলিন্ডার স্পৃষ্ট হয়। একপর্যায়ে বিকট শব্দ হয়ে আগুন ও ধোঁয়া বের হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে আগুন ও ধোয়া বের হওয়ার একপর্যায়ে টেকনিশিয়ান আরিফ সিলিন্ডারে আগুন নিভাতে গিয়ে দগ্ধ হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। তবে টেকনিশিয়ানের অসাবধানতার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দায়ী করেন রোগীর স্বজনরা। ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সেতারা বেগম জানান, আমি ঘুমে ছিলাম, হঠাৎ আগুন দেখে লাফ দিয়ে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করি। দরজার সামনে আগুন ও ধোঁয়া। যে কারণে পাশের গ্লাস ভাঙ্গার চেষ্টা করি। আমি হতাশ হয়ে যাই। কি করবো বুঝতে পারছিনা। এখানে সবাই হতাশাগ্রস্ত ছিল, যে যার বাঁচার চিন্তা করেছে।
বিছানা থেকে উঠে দৌড় দেওয়ার সময় আমার হাত থেকে রক্ত বের হয়। একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে যাই। শাহীন নামে এক রোগী জানান, হঠাৎ বোমার  মত এক বিকট শব্দ হয়। ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। রোগীরা বের হওয়ার জন্য ছুটোছুটি ও চেষ্টা করেন। চারিপাশে গ্লাসে এবং গ্রিলের জানালা থাকার কারণে আমরা আটকা পড়ে যাই। অনেক রোগী লাফ দেওয়ার জন্য গ্লাস ভাঙ্গার ও প্রস্তুতি নেয়। প্রায় ১০ থেকে ১৫  মিনিট ছিল ডায়ালাইসিস ওয়ার্ডের জীবন মরণ নিয়ে বেঁচে থাকার আর্তনাদ। আমরা খুব ভয় পেয়ে গেছি। মনে হলো এ জীবন এখানেই শেষ। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম জানান, অক্সিজেন সেন্টার লাইনের কাজ করার সময় গ্যাস স্পষ্ট হয়। তেমন বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে রোগীদের মাঝে ভয় সৃষ্টি হয়েছে।