Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Warning: copy(/home/dailyajkerbarta/public_html/wp-content/plugins/wp-memory/includes/mu-plugins/bill-catch-errors.php): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-content/plugins/restore-classic-widgets/includes/catch-errors/class_bill_catch_errors.php on line 135
রূপ হারিয়েছে রমজানের চিরায়ত সংস্কৃতি - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

রূপ হারিয়েছে রমজানের চিরায়ত সংস্কৃতি


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৫:২৮ অপরাহ্ণ রূপ হারিয়েছে রমজানের চিরায়ত সংস্কৃতি
Spread the love
শফিক মুন্সি ॥
রাইসুল ইসলাম রাব্বি বরিশাল নগরীর সাগরদি এলাকার বাসিন্দা। ২৩ বছর বয়সী এই যুবক বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র। গত নয় বছর যাবৎ প্রতি রমজানে এলাকায় ইফতারের অস্থায়ী দোকান নিয়ে বসতো সে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে এই নিয়ে পরপর দুই বছর দোকান দেয়া বন্ধ রাখতে হয়েছে। রাইসুল ইসলাম বলেন, আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। স্কুল জীবন থেকে প্রতিবছর ইফতারির দোকান দেই। এতে করে কিছুটা অতিরিক্ত আয় যুক্ত হতো পরিবারে। আমাদের ঈদটা একটু ভালোভাবে কাটতো। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে গতবছর ও এই বছর দোকান নিয়ে বসতে পারি নি। আশাকরছি আগামীবছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার বসতে পারবো। বিকেল হতে না হতেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে যেতো বাহারি ইফতার সামগ্রীর ভাসমান দোকান।এক প্রতিবেশীর বাসা থেকে অন্য প্রতিবেশীর বাসায় যেতো ইফতারি সাজানো প্লেট। সন্ধ্যায় প্রায় মসজিদ গুলোতেই ব্যবস্থা করা হতো মুসুল্লিদের ইফতার আয়োজনের। তারাবির নামাজে ঢল নামতো ছেলে – বুড়োর। এসব ছিল পবিত্র রমজান মাসে বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি। কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে এ ধরণের চিত্র বরিশাল নগরী থেকে হারিয়ে গেছে একদমই। তবে সরকারি বিধিনিষেধ মানলে দ্রুতই আবার সিয়াম সাধনার পবিত্র মাসের পুরনো রূপ ফিরে আসবে এমনটা জানিয়েছে সচেতন মহল। গতবছর (২০২০) ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ই মার্চ মৃত্যুবরণ করেন প্রথম করোনা রোগী। সেই থেকে চলতি বছরের গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দশ হাজার করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেছে বাংলাদেশে। করোনার সংক্রমণ রুখতে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। গতবছরও লকডাউনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশবাসী।বর্তমান লকডাউনে যেকোনো ধরণের দোকানপাট (স্থায়ী বা ভাসমান), মসজিদে ইফতারির আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মসজিদে একসঙ্গে ২০ জনের বেশি মুসল্লির জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকারি নীতিনির্ধারকেরা। বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৭৪ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অদ্যাবধি এ জেলায় ১০৩ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাই বাঁচতে হলে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই।সকলকে মাস্ক পরিধানপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি ও সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে দ্রুতই এই বিপর্যয় কেটে যাবে এমন প্রত্যাশা সুধীজন ও সচেতন মহলের।বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাঙালির নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। যেটা ছিল মূলত সামাজিক ও মানবিক বন্ধনের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা বিচ্ছিন্ন থাকতে বলেছে চিকিৎসকেরা। তাতে করে প্রাণঘাতি জীবাণুটিকে পরাস্ত করা যাবে। তিনি আরো বলেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে বিশ্বব্যাপী এবং সরকার করোনার বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি আশাকরি সকলে যদি একটু কষ্ট হলেও  যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি পালন করে তবে দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।অচিরেই পুরনো রূপ ফিরে পাবে পবিত্র রমজানের সংস্কৃতি।