rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114এম আমির হোসাাইন, দুমকি প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর দুমকি-বাউফল সড়কের চরগরবদি খেয়াঘাটের খেয়া পারাপার আবারও বন্ধ করে দিয়েছে ফেরির ইজারাদারের পরিচালনা বাহিনী। তাদের দাবী ফেরিতে খেয়া ভিড়লে প্রতিদিন হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। অপরদিকে মাঝিদের দাবী জেলা পরিষদের সম্পত্তির উপর সড়ক ও জনপদের সরকারী পল্টুন। এ নিয়ে দু’পক্ষের দ্বন্ধ এখন চরমে। এর আগেও সুলতান সিকদার চক্রটি খেয়া পারাপার বন্ধ করেছিল। উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ এক মাস পর খেয়াপারাপার আবার শুরু হয়। চক্রটির দাবী অনুযায়ী দৈনিক ১হাজার টাকা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গতকাল শনিবার সকালে ফেরি ইজারা পক্ষের সুলতান সিকদারসহ ৮/১০ জনের একটি চক্র নৌকা ও ট্রলারগুলো জিম্মি করে চরে বেঁেধ রাখে। এসময় মন্নান মাঝিকে মারধর করে। মন্নান মাঝি জানান, দাবীকৃত চাঁদা না দিলে পল্টুনে নৌকা বা ট্রলার ভিড়তে দিচেছ না। একই অভিযোগ চরগরবদি ফেরিঘাটের মাঝি রাসেল মিয়া, সুমন মুন্সী, সবুজ হাং, আলামিন, জাহাঙ্গীর হাওলাদার। তারা বলেন, করোনা মহামারি এবং কঠোর লকডাউনের সময় খেয়া পারাপার করে কোন মতে সংসার চালাই, খেয়া বন্ধ করায় ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়েই থাকতে হবে। এ ব্যাপারে খেয়াঘাটের ইজারাদার চরগরবদীর নূরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, এ বছর ইজারা না পাওয়ার ক্ষোভে পূর্বপাড়ের সুলতান সিকদার, ভোম সোহেল ও আবুল চৌকিদার এবং পশ্চিমপাড়ের জলিল মুন্সী, সরোয়ার মৃধা, সোহেল গাজী, মিজানুরসহ এ চক্রটি বগা পাড়ের পল্টুনে খেয়া ভিড়তে দিচ্ছে না। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তারা জোড়পূর্বক খেয়া মাঝিদের ভয়ভীতি ও মারধর করে এক পর্যায় খেয়া পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। ফেরির ইজারাদার শিবু দাস’র ফেরি ভাড়া আদায় বাহিনীর সদস্য সুলতান সিকদার বলেন, ফেরির ইজারা আমরা পেয়েছি। মাঝিরা আলাদা খেয়াঘাট তৈরী করে খেয়া পারাপার করুক, ফেরির পল্টুনে কেন ? দ’ুগ্রুপের দ্বন্ধের নিরসন হওয়া জরুরী প্রয়োজন বলে দাবী করেন দু’পাড়ের পথচারীরা। লকডাউন চলাকালীন সময়ে খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ বাড়বে। অপরদিকে উপার্জনের সুযোগ না থাকায় দরিদ্র মাঝিদের পরিবার অভাবগ্রস্থ হয়ে পড়বে। মূলত সড়ক ও জনপদের পল্টুন নির্মান করা হয়েছে জেলা পরিষদের সম্পত্তিতে। কিন্তু ইজারাদারের লোক হয়ে সরকারী পল্টুনের সাথে খেয়া ভিড়ানো বাবদ দৈনিক হাজার টাকা চাঁদা দাবী করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারী দু’টি দপ্তর সমন্বয় করেই ইতোপূর্বে ঘাট পরিচালিত হয়েছে। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, মৌখিক অভিযোগ শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।