rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চলমান লকডাউনে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বরিশালের খেয়াঘাটগুলোর নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। লকডাউনের অজুহাতে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। জেলা প্রশাসন থেকে করোনাকালে প্রত্যেক খেয়ায় ১০ জন যাত্রী বহনের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না মাঝি-মাল্লারা। ঘাটে টানানো নেই জেলা পরিষদের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। তাই নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বরিশাল নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাট, বেলতলা খেয়াঘাট ও চাঁদমারী খেয়াঘাটে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ খেয়াঘাটগুলোতে বরিশাল জেলা পরিষদ কর্তৃক ভাড়ার তালিকা টাঙানোর কয়েক দিনের মধ্যেই তা উধাও হয়ে যায়। সেই সুযোগে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন মাঝি-মাল্লারা। নগরীর বেলতলা খেয়াঘাটে দেখা গেছে প্রতি মোটরসাইকেল চালকসহ ৫০ টাকা, বাইসাইকেল ১৫ ও জনপ্রতি ১০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করতে। হেনস্তার ভয়ে সাধারণ যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিলেও রাতের অন্ধকারে তা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে নেওয়া হয়। একই দৃশ্য নগরীর খেয়াঘাট ও চাঁদমারী খেয়াঘাটে। লকডাউনে জেলা প্রশাসন থেকে চরকাউয়া খেয়াঘাটে স্বাস্থ্যবিধি পাঁচ টাকা হারে ১০ জন যাত্রী পারাপারের জন্য বলা হলেও তা মানছেন না মাঝিরা। প্রত্যেক নৌকায় গাদাগাদি করে যাত্রী উঠিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা। এতে প্রায়ই যাত্রীদের সাথে বাকবিত-ায় জড়াতে দেখা যায় মাঝিমাল্লাদের। লকডাউনের পূর্বে চরকাউয়া খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়া ছিল ৩ টাকা। করোনাকালে তা বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করা হলেও বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বেলতলা ঘাটে নূরজাহান নামে একজন মধ্যবয়স্ক নারী নিহত স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ঘাটে আসলে মাঝি ২শ টাকা দাবি করেন। অবশেষে ওই দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করেই নদী পার হতে হয়েছে। তিনি জানান, প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার কত তা জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ফলে বাধ্য হয়েই বেশি টাকায় নদী পার হতে হয়েছে। চরকাউয়ার বাসিন্দা মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব জানান, প্রতিদিন তিনি দুইবার কীর্তনখোলা নদী পার হতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে প্রতিদিনই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধে নিয়মিত খেয়াঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দাবি করেছেন তিনি। পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক মানুওয়ারুল ইসলাম অলি জানান, খেয়াঘাটের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়াটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলাপ করে করোনাকালে পাঁচ টাকা করে ১০ জন যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত হয়, কিন্তু তা অমান্য করে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন মাঝিরা। এছাড়াও টাকা খুচরা না থাকার বাহানায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা। তাই ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের উচিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা।