আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

নাজিরপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব ৪ পরিবার


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪ ৫:১০ অপরাহ্ণ নাজিরপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব ৪ পরিবার
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥   পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের মো. সোহাগ ভুঁইয়া (৩০) নামের এক আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে একই এলাকার ৪ পরিবার নিঃস্ব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদম ব্যবসায়ী সোহাগ নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের রুহিতলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তোভোগীরা হলেন একই উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কাজীর ছেলে মো. জুয়েল কাজী, সামসুল হক কাজীর ছেলে, কাজী এমদাদুল হক, মৃত আব্দুল মালেক কাজীর ছেলে কাজী আল-মামুন, এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলার ১ নম্বর চেচরিরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চেচরি গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার। তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে ওই চার ভুক্তভোগী পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী সোহাগ ও তার পিতা আলমগীর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. সোহাগ ভূঁইয়া কয়েক বছর যাবৎ দুবাই থাকেন এবং সেখানে এবি ট্রাভেল অ্যান্ড টাইপিং এবং সোহাগ ভূঁইয়া প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নামের দুটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ সুবাদে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নিয়ে যান।

আরো জানা যায়, পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের কোনো চাকরি না দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে জোড় পূর্বক স্বাক্ষর রেখে টাকা দাবি করেন।

কেউ টাকা না দিলে দুবাই পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানর হুমকি দেন। এ ছাড়া প্রতারক সোহাগ ভূঁইয়ার পিতা মো. আলঙ্গীর ভূঁইয়া তিনি নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক সংগ্রহ করে ছেলের এ প্রতারণা সহযোগিতা করছে।ভুক্তভোগী কাজী আল মামুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই প্রতারক সোহাগের সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে দুবাই তার ব্যবসার অংশীদার হিসেবে রাখবে বলে আশ্বাস দেয়।

এরপর আমি আমার ভিটে মাটি বিক্রি করে সোহাগের প্রলোভনের ২০২৩ সালের ৩ জুন তার বাবা আলঙ্গীর ভূঁইয়ার নিকট দুই ধাপে তাকে ২১ লক্ষ টাকা প্রদান করি।’তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তীতে আমি দুবাই গেলে আমাকে কোনো কাজ বা ব্যবসার অংশীদার না দিয়ে কয়েকমাস জিম্মি রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে রাখে এবং দেশে ফেরত না গেলে আমাকে দুবাই পুলিশ দিয়ে ধরিয় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা হাজত খাটাবে মর্মে হুমকি দেয়। এবং বলে দেশে ফিরে এলে আমাকে ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেয় বাকী ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে মার-ধর এবং মিথ্যা মামলার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়, বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ সুপার পিরোজপুরের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করি।’

অভিযুক্ত দুবাই প্রবাসী মো. সোহাগ ভুঁইয়ার ব্যবহৃত নম্বরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম জানান, অভিযোগ পেয়েছি আমি ওসি-ডিবিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেছি।