rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের লাইসেন্স বিহীন সুন্দরবন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে পালাতক অবস্থায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান(র্যাব-২) এর সদস্যরা।
গত শনিবার( ২০ জানুয়ারি) সকালে তাকে যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে ওইদিন রাতে গ্রেপ্তারকৃতকে বামনা থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে আসে বামনা থানা পুলিশ। আজ রবিবার তাকে বরগুনা কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, গত ১৫ জানুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় সুন্দরবন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মোসা. মেঘলা আক্তার(২০) নামে এক প্রসুতি ও তার গর্ভেও সন্তানের মৃত্যু ঘটে। নিহত ওই প্রসুতি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম তারেক এর স্ত্রী।
মামলাসূত্রে জানাগেছে, সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১৫ জানুয়ারি বিকালে প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তারকে সিজার করানোর জন্য ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রসুতির প্রসববেদনা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক হাসপাতালে আসতে দেরী হওয়ায় রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (এ্যানেস্থাশিয়া সার্জন) ডা. সবুজ কুমার দাস হাসপাতাল পরিচালক রেজাউল ইসলামের পরামর্শে নিজেই অপারেশন শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে রোগীকে অ্যানেস্থিশিয়া প্রদানের সাথে সাথে রোগিটি মারা যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি অণ্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য প্রসুতীর অবস্থা আশংকাজনক জানিয়ে মৃত্যু রোগীকে নিয়ে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বিষয়টি নিহতের পরিবারের সন্দেহ হলে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া ইসলামিয়া হাসপাতালে তাকে নিয়ে যান। রোগী অনেক পূর্বে মারা যাওয়ায় তারা ওই লাশ তাদের হাসপাতালে তোলেন নি। পরে তারা নিহতের বাবা বাড়ীতে লাশটি পৌছে দেন। এই ঘটনার পর থেকে সুন্দরবন হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা, ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্টাফরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় পালিয়ে থাকা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নং আসামী আসামী মিজানুর রহমানকে ঢাকা থেকে র্যাব-২ এর সদস্যরা আটক করে।
এব্যাপারে জানতে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ তুষার কুমার মন্ডল এর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেয়।