Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 চরফ্যাশনে ডাবল মার্ডারের ভাড়াটে খুনি চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার - আজকের বার্তা
চরফ্যাশনে ডাবল মার্ডারের ভাড়াটে খুনি চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২১ ৫:২৩ অপরাহ্ণ
Spread the love
এম,নোমান চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি ॥
ভোলার চরফ্যাশনে দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় ভাড়াটে খুনি মোঃ শরীফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ভাড়াটে খুনি তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শরীফুল একই উপজেলার দক্ষিণ আইচা এলাকার শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে শরীফুলকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে তাকে ভোলায় নিয়ে আসা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের শরীফুল জানিয়েছেন, দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তিনি উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিল্লাল গংদের কথামতো চরফ্যাশন পৌর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমিত সরকার তপন ও দুলাল সরকারকে হত্যা করেন। জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে চরফ্যাশন পৌর ৩নং ওয়ার্ডের মাস্টার বাড়ি উপেন্দ্র সরকারের ছেলে অমিত সরকার তপন (৫৫) ও দুলাল সরকার (৫২) তাদের বসত ভিটাসহ জমি বিক্রি করতে চান। এসময় বেল্লাল গংদের সঙ্গে ৪৬ শতাংশ জমির দাম ঠিক হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। এরমধ্যে বেল্লাল গংরা তিন লাখ টাকা বায়না দিয়ে বাকি টাকা জমি দলিলের আগে পরিশোধের আশ্বাস দেন দুই ভাইকে। এ ঘটনার কিছু দিন পর বেল্লাল দুই ভাইকে দলিল না দেয়া পর্যন্ত কোনো টাকা দেয়া হবে না বলে ছাপ জানান বেল্লাল গাং। এরপর দুই ভাই ভারতে চলে যান। কিছুদিন পর বেল্লাল গংরা তাদের বাংলাদেশে এসে বাকি টাকা বুঝিয়ে নিয়ে দলিল দেয়ার জন্য বলে। পরে তাদের কথা মতো তারা চরফ্যাশন আসেন। তপন ও দুলাল দলিল দেয়ার পরও তাদের বাকি টাকার জন্য ঘুরাতে থাকেন বেল্লাল। পরে নিরুপায় হয়ে তপন ও দুলাল তাদের এক ভাইকে দিয়ে অগ্রখরিদ মামলা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন বেল্লাল গংরা। এরপর তারা শরীফুল ইসলামকে ভাড়া করেন। পরে গত ৭ এপ্রিল রাতে এ দুই ভাইকে বাকি টাকা নেয়ার জন্য আসলামপুর গ্রামে আসতে বলেন। দুই ভাই আসলে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অস্ত্র দিয়ে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে সুন্দরী খালে ফেলে এরপর নিহতদের কেউ যাতে চিনতে না পারে সেজন্য গভীর রাতে তাদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনার পরের দিন ৮ এপ্রিল বাগানে মস্তকবিহীন দগ্ধ অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ যখন নিহতদের মস্তক খুঁজতে শুরু করে তখন ওই রাতেই আসামিরা খাল থেকে মস্তক দু’টি উঠিয়ে এলাকার ফরাজী বাড়ির মহিবুল্লাহ বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনার ১৪ দিন পর গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মস্তকবিহীন লাশের দুই মস্তক উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বেল্লাল, আবু মাঝি ও আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত ২৩ এপ্রিল সকালে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সুন্দরী খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভাড়াটে খুনি শরীফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেফতার শরীফুল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ।