Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বরিশাল-৫ আসনের অধিকাংশ প্রার্থীকেই চেনেন না ভোটাররা - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বরিশাল-৫ আসনের অধিকাংশ প্রার্থীকেই চেনেন না ভোটাররা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ বরিশাল-৫ আসনের অধিকাংশ প্রার্থীকেই চেনেন না ভোটাররা
Spread the love
ফিরোজ গাজী ॥  আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও বরিশাল সদর আসনের নির্বাচনী মাঠের প্রচার-প্রচারণা চলছে একতরফা। এ আসনে এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও অধিকাংশ প্রার্থীকেই চেনেন না সাধারণ ভোটাররা। হাতে গোনা দু’এক জন প্রার্থী ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের চেনা তো দুরের কথা, তাদের নাম পর্যন্ত শুনিনি এমনটাই বলছেন কোনো কোনো ভোটার। তারা এও জানেন না যে এ আসনে কজন প্রার্থী আছে।
তফসিল, যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ কিছুটা জমে উঠলেও শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ায় উত্তাপ অনেকটাই নিরুত্তাপে রূপ নিয়েছে।
আওয়মী লীগের দলীয় মনোনয়নন নিয়ে এ আসনে নৌকা প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম। ‘লাঙ্গল’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস। তবে শোনা গেছে এ আসন থেকে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন। যদিও এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। এছাড়া আইনি জটিলতায় আটকে আছে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র প্রার্থীতা। এর আগে তার পক্ষে ঈগল মার্কা নিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেলিন তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা। তবে তার প্রার্থীতায় স্থগিত আদেশ থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেটা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সালাউদ্দিন রিপন, তার মার্কা ট্রাক। ‘আম’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন এনপিপির আব্দুল হান্নান, ‘ডাব’ নিয়ে লড়ছেন  বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মাহাতাব হোসেন। এছাড়াও ‘ছড়ি’ প্রতিক নিয়ে মাঠে আছেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আসাদুজ্জামান আসাদ। বিএনপি ভোটে না আসায় এবার এ নির্বাচনের আমেজ এক তরফা বলা হলেও জাতীয় পার্টি, শরিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন জমিয়ে তোলার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশালে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে নেমেছিলেন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এক দিকে আ’লীগের মনানীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম ও অন্য দিকে স্বতন্ত্র সাদিক। সাধারণ ভোটাররা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের একটা আভাস পেলেও দুই প্রার্থীর আইনি লড়াইয়ে সাদিকের প্রার্থীতা বাতিল-বহাল, বাতিল-বহাল করতে করতে শেষ পর্যন্ত তা গড়ালো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজের কামরা পর্যন্ত। সেখানে সাদিকের প্রার্থীতা স্থগিত থাকায় বরিশালে নির্বাচনী উত্তাপ অনেকটাই এক তরফা হয়ে গেছে। এখন শুধু মাঠে পুরোদমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জাহিদ ফারুক শামীম।
অপর দিকে হামলা, বাধা বিপত্তির নানা অভিযোগ এনেও মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন সালাউদ্দিন রিপন। এছাড়া অন্য প্রার্থীর তেমন আহামরি কোনো প্রচারণা লক্ষ করা যায়নি। যে কারণে ভোটাররা স্বাভাবিকভাবে অনেক প্রার্থীকেই চেনেন না । নগরীর বাসিন্দা ধ্রুবদেব শুভ জানান, আমি এ নির্বাচনে তিন জনের নাম জানি, জাহিদ ফারুক, সাদিক আর সালাউদ্দিন রিপন। তার মধ্যে সাদিক এখনও নিশ্চিত না। আর বাকিদের নামও জানি না, তাদের চিনিও না। নগরীর আরেক বাসিন্দা মোহাম্মাদ ইমাম জানান, কয়জন প্রার্থী আছে জানি না, তবে আমি চিনি দুই জনকে, সাদিক আর কর্নেল জাহিদ ফারুককে। আর সালাউদ্দিন রিপনের নাম শুনেছি, তাকে চেহারায় চিনি না। বরিশাল আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জানান, এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে চিনি মূলত এক জনকে জাহিদ ফারুককে। এছাড়া সালাউদ্দিনের নাম শুনেছি। আর সাদিক তো এখন মাঠে নাই।
এদিকে প্রচার গাড়িতে অন্যান্য প্রার্থীদের নামেমাত্র প্রচার চললেও অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে তাও মনোযোগ সহকারে শুনতে পারছে না নগরবাসী। তারা বলেন, আমাদের কাছে এসে যদি সকল প্রার্থীরা ভোট চাইত তাহলে তাদের চিনতাম, জানতাম বা তাদের মার্কা সম্পর্কে অবগত হতে পারতাম। কিন্তু দুই একজন ছাড়া কেউই আসেন না।
নগরবাসীর ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, যেহেতু তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রচার প্রচারণা নেই, তাতে মনে হয় তারা শুধুমাত্র ফেমাস হওয়ার জন্য নির্বাচনে আসছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, জনগণ প্রার্থীদের খুঁজে পায়না, ভোটের আগেও খুজে পায় না, পরেও খুঁজে পায়না এটা সত্য। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো, প্রচার প্রচারণায় কোনো বাধা বিপত্তি পাইনি। তবে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সে দ্বায়ভার নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক বাধা ও হামলার শিকার হচ্ছি জানিয়ে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন জানান, আমাদের কর্মীরা একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে। চরমোনাইয়ের বুখাইনগরে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে। এছাড়া নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডে আমাদের দুই কর্মীর উপরে হামলা হয়েছে। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী কর্নেল জাহিদ ফারুক বলেন, বরিশালের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমি বিগত ৫ বছর সততার সাথে মানুষের জন্য কাজ করছি। আশা করি তারা আমাকে ভোট দিয়ে এবারও বিজয়ী করবে ও উন্নয়ন ধারা অব্যাহাত রাখায় বড় ভূমিকা রাখবে।