মতিউর রহমান রাজা গত ইউপি নির্বাচনে সদরের বদরখালী ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।তিনি জেলা বিএনপির (হালিম-নজরুল কমিটির) কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও বরগুনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মতিউর রহমান রাজা। জেলা বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বরগুনা সদর থানা সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় মামলা করে।ওই মামলায় মতিউর রহমান রাজাকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী বরগুনার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবু হানিফ জানান, বরগুনা সদর থানার এসআই নুরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করছেন।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশিরুল আলম বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন মতিউর রহমান রাজা। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার এলাকায় অবস্থান করছেন।তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলার পলাতক আসামি মতিউর রহমান রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।