বার্তা ডেস্ক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের তিন বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না। তাঁকে বরিশালে সবাই সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী হিসেবেই চেনেন। সাদিকের আশীর্বাদে তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন এবং চেয়ারম্যান হয়েছে এটা একাধিকবার প্রকাশ্যে স্বীকারও করছেন মুন্না। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সাদিকের পাশে নেই।
শুধু আরিফুজ্জামান মুন্না এবং শাহরিয়ার বাবু নয়। নৌকার পক্ষে কাজ করতে প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন আরো ডজন খানেক সাদিক অনুসারী নেতা। এদের মধ্যে কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা, চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি, সাধারণ সম্পাদক হালিম রেজা মোফাজ্জেল আজ বৃহস্পতিবার নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুকের সাথে সাক্ষাৎ করার কথা ছিল।তবে তাঁর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় ওই বৈঠকটি হয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করে জাহিদ ফারুকের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক বলেন, ‘দুই জন ইউপি চেয়ারম্যান যোগাযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য। আমরা তাদের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছি। এখন তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।’
লস্কর নুরুল হক আরো বলেন, ‘আরো বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি যোগাযোগ রক্ষা করছেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে।তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়েছে তারা দুই এক দিনের মধ্যেই নৌকার পক্ষে মাঠে নামবেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জাহিদ ফারুক। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাদিক আব্দুল্লাহ। তবে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
সবশেষ বুধবার প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ‘আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২ তারিখ শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিয়েছেন আমরা তাঁর পক্ষেই রয়েছি। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সাদিক আব্দুল্লাহ আমার রাজনৈতিক নেতা হতে পারেন কিন্তু তাঁরা নৌকার বিপরীতে গেলে তাঁদের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’
রায়পাশা-কড়াকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহমেদ শাহরিয়ার বাবু বলেন, ‘আমরা চিনি নৌকা প্রতীক। যিনি নৌকা পেয়েছেন আমরা তাঁর। নৌকার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই তাই জাহিদ ফারুকের নৌকার পক্ষে আমরা মাঠে নেমেছি।’