বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে পাঠানো এক চিঠিতে আউয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগে শ ম রেজাউল করিম লিখেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাই মুজিবুর রহমান খালেকের ছেলে তানভীর মুজিব অভির নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আড়াইটায় পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা বাজারে আমার (শ ম রেজাউল করিম) নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সিকদার মল্লিক ইউনিয়নে গিয়ে একইভাবে সন্ত্রাসী কাণ্ড ঘটায়। পরে আলামকাঠি নামক স্থানে আমার নির্বাচনি কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়। আমার সমর্থকের একটি মোটরসাইকেল ভেঙে পুড়িয়ে ফেলে। সেখান থেকে শহরে গিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের কালীবাড়ির অফিস এবং তার বাসায় হামলা করে ভাঙচুর করে। এ ছাড়া নৌকা প্রতীকের সমর্থক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করেছে। জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সিকদার মো. চানের বাসা ঘেরাও করে আছে প্রায় ২০০ সশস্ত্র ক্যাডার। সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বাইজিদ হোসেনের আপন বোন মিতুর বলাকা রোডের বাসায় সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
শহরে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি লেখেন, পিরোজপুর শহর থেকে সিকদার মল্লিকস্থ বাড়ি ফেরার পথে ডা. সিদ্ধার্থ মজুমদারের মোটরসাইকেল আটকে তানভীর মুজিব অভি জানতে চান, তিনি কোথায় যাচ্ছেন। আমার নাজিরপুরের বাড়িতে আসবে অনুমান করে একাধিকবার গুলি করে। সৌভাগ্যক্রমে মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেলে তিনি অক্ষত থাকেন।
বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমান, পুলিশ সুপার শরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত হোসেন, বরিশালের ডিআইজি জামিল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের টেলিফোনে অবহিত করেছি। পুলিশ সুপার ও অন্য কর্মকর্তারা এ ঘটনা দেখেছেন। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, ব্যবসায়ীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। আমার সমর্থক ও কর্মীদের জীবন বিপন্নপ্রায়।
ইতিপূর্বে সমর্থক ও কর্মীদের টেলিফোনে ও সরাসরি জীবননাশের হুমকি দিলে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে চিঠিতে অনুরোধ করেন শ ম রেজাউল করিম।