বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনা-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরগুনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আহমেদ সাঈদ।
সোমবার সকালে ৯ জন কারণ দর্শানোর নোটিশ গ্রহণ করেন।
নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, আমতলীর পৌর মেয়র মো. মতিউর রহমান, আবদুল বারেক মাঝি, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ কাদের, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম হাসান, তালতলীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আজিজুল হক ও বরগুনা জেলা আওয়ামী সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে মো. হুমায়ুন কবির ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বরগুনার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আহমেদ সাঈদ বরাবরে একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেছে, ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা হতে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তালতলী খাদ্য গুদামসংলগ্ন কলবাড়িতে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার নাম করে নির্বাচনি প্রচারণামূলক একটি জনসভা করেন। ওই জনসভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে জয়লাভের উদ্দেশ্যে তারা বক্তব্য প্রদান করেছেন। এতে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মেয়র মো. মতিউর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্ট দিতে দেবেন না। ১৮ তারিখের পর খেলা শুরু হবে। আওয়ামী লীগের বাইরে কিছু হবে না। এছাড়া দৈনিক আজকের পত্রিকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
নির্বাচনি প্রচারণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারেক মাঝির বিরুদ্ধে।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে ১০ ডিসেম্বর অভিযোগকারী হুমায়ূন কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু এবং দুজন স্থানীয় ব্যক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির কাছে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করেছে। সেই সভায় আমি আমার নেতাকর্মীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছি। আমি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি একজন আইনপ্রণেতা। আমি এমন কোনো বক্তব্য দেইনি যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু আরও বলেন, আমরা নির্ধারিত সময়েই জবাব দেব।
আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা বলেন, ৯ ডিসেম্বর তালতলীতে যে বর্ধিত সভা হয়েছে সেই সভায় আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় সেই রকম কোনো বক্তব্য দেইনি।
অন্যান্য নোটিশপ্রাপ্তরাও বলেন, আমরা নির্বাচনি কোনো বক্তব্য দেইনি। কী কী করলে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হবে তা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রচার করলে ভালো হতো। আমরা দলীয় প্রোগ্রামে ছিলাম। দলীয় কথাবার্তা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি।