আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঝালকাঠিতে দুই দিনের ব্যবধানে ৮০ টাকার পেঁয়াজ ২০০


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩ ৬:২৫ অপরাহ্ণ ঝালকাঠিতে দুই দিনের ব্যবধানে ৮০ টাকার পেঁয়াজ ২০০
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  ঝালকাঠিতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দুই দিন ধরে বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। জেলা শহরে পেঁয়াজ থাকলেও উপজেলার বাজারগুলোতে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। যদিও কোনো দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যায়, তার মূল্য নেওয়া হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা।

অনেকেই বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অথচ এই পেঁয়াজের দাম দুই দিন আগে ছিল মাত্র ৮০ টাকা কেজি। বাজারে বর্তমানে যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, তা ভারত থেকে আমদানি করা। দেশি পেঁয়াজ কোনো দোকান কিংবা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

ঝালকাঠি শহরের কয়েকজন আড়তদার জানান, বরিশাল থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে আনা হয়েছে। পাইকারি ১৮২ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

এদিকে জেলা সদর ছাড়া অন্য তিনটি উপজেলা নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার বাজারে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।

কোনো কোনো দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া গেলেও ২০০ টাকার বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলে জেল-জরিমানা করা হবে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নলছিটি শহরের থানা সড়কের মো. ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাজারে কোনো পেঁয়াজ পাচ্ছি না। বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।

আমার পক্ষে বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব নয়। একদিকে দাম বাড়ছে, অন্যদিকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও প্রশাসনের কোনো অভিযান নেই।’ঝালকাঠি শহরের নতুন কলাবাগান এলাকার হাসি বেগম বলেন, ‘বাজারে গিয়েছিলাম পেঁয়াজ কিনতে, কিন্তু পারলাম না। ৮০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা। দুই দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। আগে এক-দুই কেজি করে কিনতাম, এখন আড়াই শ গ্রাম কিনতেও সাহস পাচ্ছি না।’

ঝালকাঠির আড়তদার কবির আকন বলেন, ‘আমরা বরিশাল থেকে ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, পাইকারি বিক্রি করছি ১৮২ টাকায়।’

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মিলন চাকমা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং করছে। কোথাও কোনো দাম বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে।’