rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া ১৩৪ কর্মচারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বাতিলের তালিকায় রয়েছে আরও ৫১ জন কর্মচারী।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, নিয়োগ বাতিলের নোটিশ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া হয়েছে।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন বিসিসির ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র নির্বাচিত হন। আর মেয়র প্রার্থী হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন না পাওয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। এদিকে নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বিসিসির দায়িত্ব নেওয়ার আগেই অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিসিসি প্রশাসন, হাটবাজার, পরিচ্ছন্নতা, ভাণ্ডার, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, জন্মনিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখায় কর্মরতদের মধ্যে ১৩৪ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও ৫১ জন কর্মচারীকে কর্মস্থলে না আসার জন্য মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) তাদের (বাকি ৫১ জন) চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও জানা গেছে।
এদিকে আরেক নোটিশে দেখা গেছে, সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে চাকরিচ্যুত ৪১ জনকে পুনঃনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের বিল ছাড় হয়েছে এবং ১৬ জনের হয়নি।
এসব ব্যাপারে বিসিসির মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার একান্ত সহকারী মো. রুবেল হাওলাদার বলেন, নতুন মেয়রকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অস্থায়ী নিয়োগগুলো দেন এবং সবাইকে দুই মাসের আগাম বেতনও দেন।
তিনি আরও জানান, বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৯ কোটি টাকা বকেয়া রেখে গেছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া তিনি বিসিসির ৩৯ জন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধভাবে চাকরিচ্যুতও করেছেন। ওএসডি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খোরপোষের ভাতাও দেননি। ফলে সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার বলেন, আমাদের প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চাকরি থেকে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া। তবে নিয়োগের শর্ত ছিল, যখন ইচ্ছা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি বাতিল করতে পারবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন না থাকায় ১৩৪ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। আরও ৫১ জনের নিয়োগ আগামী ১০ ডিসেম্বর বাতিল করার কথা রয়েছে।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গত ০৯ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে বিদায় নেন। নবনির্বাচিত আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত দায়িত্ব নেন ১৪ নভেম্বর।