Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
পাথরঘাটায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রতীকী সভা - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

পাথরঘাটায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রতীকী সভা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩ ৫:২৯ অপরাহ্ণ পাথরঘাটায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে প্রতীকী সভা
Spread the love

‘ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ চাই’ এ স্লোগান নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে মানববন্ধন ও তরুণদের নিয়ে প্রতীকী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতীকী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীসহ তরুণ, শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম রেজা, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৮ সম্মেলনে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিস্থিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দাবি উপস্থাপনের আহ্বানসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত করার দাবি করা হয়।

প্রতীকী প্রদর্শনীর মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে কয়লা গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করে বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাসহ কপ-২৮ সম্মেলনে ৩৩টি দাবি উল্লেখ করে তা উপস্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো- পরিবেশ ও কৃষি জমির ক্ষতি করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় বাস্তুসংস্থান ও মানুষের ওপর জীবাশ্ম জ্বালানি ও উন্নয়ন প্রকল্পের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কর্মসংস্থান হারানো ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে নতুন কর্মসংস্থান নয়, পূর্বের কর্মসংস্থানে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। জীবাশ্ম ও অপরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ফিরে আসতে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়াতে হবে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, সাফারি পার্কের নামে বনাঞ্চল ধ্বংস ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত বন্ধ করতে হবে। নদীগুলোকে ক্ষয়, বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বিভিন্ন সমাধানমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসতি থেকে উচ্ছেদের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বাসস্থান ও জীবনধারণের উপকরণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ পরিবেশগত ও সামাজিক মূল্যায়ন ছাড়াই আগ্রাসী শিল্পায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।

শেষে তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা ঝুঁকি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জলবায়ু ন্যায্যতার‌ ধারণা দেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।