Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
জ্বালানি খাতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি বরিশালে - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

জ্বালানি খাতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি বরিশালে


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩ ৫:২৩ অপরাহ্ণ জ্বালানি খাতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি বরিশালে
Spread the love

জ্বালানি খাতের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবিতে বরিশালে সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে র‌্যালি বের হয়। প্রান্তজন, বৈদেশীক দেনা বিষয়ক কর্ম জোট (বিডব্লিউজিইডি) ও উপকূলীয় জীবনযাত্রা পরিবেশ কর্মজোটের (ক্লিন) যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি হয়েছে।

এসময় কৃষিজমি বা বাস্তভিটায় জ্বালানি প্রকল্প না করা, কৃষিভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থায়ন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ ১২টি দাবি তুলে ধরা হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সমাবেশে বক্তৃতা দেন ক্যাব-এর সমন্বয়কারী রনজিত দত্ত, আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র দাস, আরোহির নির্বাহী পরিচালক এটিএম খোরশেদ আলম, এনভিএস-এর নির্বাহী পরিচালক শওকত আলী বাদল, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহাজাদা, উন্নয়নকর্মী ইব্রাহিম হামিদ মাছুম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মতন উন্নয়নশীল দেশসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ উন্নত দেশগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অনেকক্ষেত্রেই পরিবেশের ক্ষতি করার সাথে সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

স্থানীয় মানুষ থেকে শুরুকরে এখানে কর্মরত শ্র্রমিকেরা নানান ভাবে মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বে-আইনী জমি অধিগ্রহণের কারণে কিছু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কৃষক এবং মৎস্যজীবী থেকে শুরুকরে অনেকেই তাদেও পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছে ।

বালি দিয়ে ভরাট করার কারণে স্থানীয় মানুষের বাসস্থান ও চাষযোগ্য জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই জ্বালানী খাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।

এসময় বক্তারা ১২টি দাবি তুলে ধরেন, কৃষিজমি বা বাস্তভিটায় কোন ভাবেই কোন জ্বালানি প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। ইতোমধ্যে যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের জায়গায় গৃহিত প্রকল্পের লভ্যাংশ তাদেরকে নিয়মিত দিতে হবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে নির্মাণের আগেই স্থানীয়দের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও বিতরণ এবং ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত দুর্নীতির তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়ন করে তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবেনা। নারী অধিকার রক্ষায়, যে- কোন জ্বালানি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারী সদস্য মনোনীত করতে হবে।

দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভূমি ইজারা নিতে হবে এবং জমির বার্ষিক ভাড়া প্রদানের সুষ্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে অর্থায়ণের দাবি জানান তারা।