বুধবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান তালুকদার চিঠিতে উল্লেখ করেন, কলাপাড়া থানার ওসির কর্মকাণ্ডে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি নষ্ট হচ্ছে। এর পক্ষে তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নিজ বাসায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করেন। অথচ ২৯ নভেম্বর রাতে উপজেলাজুড়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভয় দেখানো হয়। বিষয়টি ওসিকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো পরোক্ষভাবে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা করেন।

মাহবুবুর রহমানের ভাষ্য, ৩০ নভেম্বর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা কর্মী-সমর্থকদের ওপর বর্তমান সংসদ সদস্যের লোকজন হামলা করে। তাঁর দুই কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে। এ ছাড়া লাঠিপেটায় দুই শতাধিক কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে কালক্ষেপণ করেন ওসি। তিনি মামলাও নেননি।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদের ভাষ্য, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব সাহেব কেন অভিযোগ করেছেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কর্তৃপক্ষ সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই।’

আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান মহিব এ বিষয়ে বলেন, ‘মাহবুব তালুকদারের অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাঁর নেতাকর্মীরা মারামারি করেছে। নিজেদের ব্যর্থতা ও অপরাধের দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এসব মাহবুব তালুকদারের পুরোনো অভ্যাস।’