rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ গ্রামাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। যদিও শহরে এখনো সেরকম ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে না। ভোর রাতে অবশ্য গায়ে কম্বল না জড়িয়ে পারা যাচ্ছে না। এই অল্প শীতেই কাবু হয়ে পড়ছেন অনেকে। কম্বলের ওম ছেড়ে বেরোতেই চান না। বেরোলেও শীতের কাপড়ে নিজেকে জড়িয়ে রাখেন।
এমন শীতকাতুড়ে ভাব কমবেশি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। অন্যদের তুলনায় একটু বেশি শীতকাতুরে হলে অনেকেই নানা অসুখের ভয় পান, ভাবেন হয়তো শরীরের অভ্যন্তরে ভয়ংকর কিছু বাসা বাঁধছে, যার প্রকোপে শীত করছে। আসলেই কি তাই?
চিকিৎসকরা বলছেন, বিষয়টি তেমন উদ্বেগজনক নয়। শীতকালে ঠান্ডা লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কারও একটু বেশি ঠান্ডা লাগে, কারও কম। শরীরের এই তাপমাত্রা গ্রহণ করার ক্ষমতা এক একজনের এক এক রকম।
তাই বলে শীত বেশি করার প্রবণতা যে বড় কোনো অসুখের লক্ষণ , তা নয়। বরং শারীরিক দুর্বলতা এর কারণ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই দুর্বলতা পুষে রাখলে পরে তা বড় অসুখ ডেকে আনতে পারে।
যেসব কারণে সব সময়ই শীত অনুভূত হয়
১। চিকিৎসকদের কথায়, শরীরে বি ১২ ভিটামিনের ঘাটতি হলে শীত শীত ভাব আসতে পারে। রক্ত চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন বি ১২। রক্ত শরীরকে উষ্ণ রাখে, তাই ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। ফলে শীত করে।
২। থাইরয়েড গ্রন্থিও ঠান্ডার অনুভূতির অন্যতম কারণ। অনেকের শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক মতো কাজ করে না। ‘হাইপোথাইরয়েড’-এর কারণে অতিরিক্ত শীত করে। এসব রোগীর গরমের অনুভূতিও খুব। কাজেই খুব শীত অনুভূত হলে থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
৩। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রনের জোগান না থাকলেও শীত করতে পারে। লোহা শরীরের লোহিত রক্তকণিকায় অক্সিজেন সরবরাহ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শরীরের প্রতিটি রক্তকোষে খাদ্যগুণ ও পুষ্টি পৌঁছে দিতেও সাহায্য করে। তাই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে তা স্বাভাবিক ভাবেই শীতের অনুভূতি আনে।
৪। আপনি কি ধূমপান করেন? শুনতে অবাক লাগলেও এটিও শীত করার পরোক্ষ কারণ। অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে গিয়ে রক্ত সংবহনের মাত্রা কমে যায়। ফলে সব সময় একটা শীত শীত ভাব অনুভূত হয়।