আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বিশেষায়িত হাসপাতাল অকেজো


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩ ৭:০৫ অপরাহ্ণ বিশেষায়িত হাসপাতাল অকেজো
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥ গলাচিপায় প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবার জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল ভবন নির্মাণ শেষ করা হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু দ্বিতল সেই ভবন এখন তালাবদ্ধ পড়ে আছে। এতে একদিকে জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে দিনের পর দিন তালাবদ্ধ থাকায় ভবনের জিনিসপত্রও নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তিরা তাতে ভ্রুক্ষেপ করছে না।

ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপকূলীয় এই অঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের। তাঁরা বাধ্য হয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে ঝুঁকি নিয়ে পটুয়াখালী বা বরিশাল হাসপাতালে যাচ্ছেন। এতে কখনো মায়েরা পথেই মারা যাচ্ছেন, আবার কখনো পথেই সন্তান প্রসব করছেন। হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পরেও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু না করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

তাঁরা বলছেন, হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম শুরু না করার পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। দ্রুত এই হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম শুরু করার জোর দাবি
জানান এলাকাবাসী।
বিশেষায়িত হাসপাতাল অকেজোজানা গেছে, প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবার লক্ষ্যে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫২ শতক জমির ওপর চার কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১২ টাকায় ১০ শয্যার একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্মাণের দায়িত্ব পায় কে কে এন্টারপ্রাইজ।

২০২০ সালের ১৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণকাজ শুরু করে। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কাজ শুরুর ১৫ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। তবে এক বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও তাতে সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়নি। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় প্রসূতি মায়েরা।

এর ফলে প্রসূতি মায়েদের জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে ঝুঁকি নিয়ে পটুয়াখালী বা বরিশাল হাসপাতালে যেতে হয়। দূরত্ব বেশি হওয়ায় পথে অনেক প্রসূতি মা মারা যান এবং অনেক সময় সন্তান প্রসব হয়ে যায়। অথচ এই হাসপাতাল চালু হলে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর বাসিন্দারা সুফল ভোগ করতে পারবেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নির্মিত ভবনটি পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।

এ বিষয়ে উপপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, পটুয়াখালী আ ফ ম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকবল নিয়োগ দেয়নি। তবে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উপজেলার স্থানীয় পর্যায়ের লোকবলের মাধ্যমে ৩০ নভেম্বরের ভেতরে চালু হবে বলে আশা করি।’

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘১৪ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন তার জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু সেটা হয়নি, তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি চলতি মাসেই সাধারণ রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটি চালু করা হবে।’