আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ১:৩১ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পটুয়াখালীর পায়রা, তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গ, ডিগ্রি, রামনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদীতে চলছে ইলিশ শিকার। এসব নদীতে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি নদীর পাড়েই প্রকাশ্যে বেচাকেনার তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইলিশ শিকার বন্ধে পটুয়াখালী জেলায় ১২ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ দিনে ২২৯টি অভিযান এবং ৮৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ইলিশ জব্দ হয়েছে ৮৬৬ টন, যার বাজারমূল্য এক কোটি ১৫ লাখ ৩৪৫ টাকা। এ পর্যন্ত মামলা হয়েছে ৭৭টি এবং দণ্ড দেওয়া হয়েছে ৬১ জনকে।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে একটি পক্ষ প্রথম দিন থেকেই পায়রা, তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গসহ অন্যান্য নদীতে ইলিশ শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পায়রা ও তেঁতুলিয়া নদীতীরবর্তী এলাকার জেলেরা ইলিশ শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে মৎস্য বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে চলছে ইলিশ শিকার। নদীগুলোর অন্তত ১১টি স্পটে জেলেরা ইলিশ শিকার করছে।
জেলার দুমকী উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া গিয়ে দেখা যায়, পায়রা নদীতে জেলেরা জাল ফেলে রেখেছে এবং মাছ শিকারিদের নৌকা নদীতে ভাসছে। সেখান থেকে জালাল আহমেদ নামে এক জেলে ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ১২টি ইলিশ ধরে নিয়ে আসে। জালাল আহমেদ জানায়, সরকারি সহায়তার তালিকায় তার নাম নেই। এত দিন মাছ শিকার করেনি। তবে কিস্তির টাকা পরিশোধ আর সন্তানদের মুখে খাবার দিতে বাধ্য হয়েছে জাল ফেলতে।