বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের স্বরুপকাঠিতে শত বছরের পুরনো ঝরার্জীণ ভবনে চলছে ডাক বিভাগের কার্যক্রম। সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনকুলে পোষ্ট অফিস ভবনের চারপাশ জঙ্গলের ঝোপঝাড়ায় ভ’তঘরে পরিণত হয়েছে। নদীর পানি বাড়লেই ডাক ভবনে এক থেকে দেড় ফুট ফ্লার পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও এ নদী বাঙনকুলে ঝুকিপূর্ণ ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরায় এবং নদীর গর্জণে জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। একটু বৃষ্টি হলেই আসবাবপত্রসহ নষ্ট হচ্ছে সরকারিগুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
পিরোজপুর এশিযান টিভির জেলা স্টাফ রিপোর্টার মোঃ গোলাম মোস্তফার নদী ভাঙ্গনকুলে ধুমডে-মুছডে ঝরাজীর্ণ চার দেয়ালের এক রুম বিশিষ্ট টিনের ছাউনির ভবনটি প্রায় দুই লাখ মানুষের চিঠি-পত্রসহ মানি-অর্ডার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রতিনিয়ত আদান-প্রদানে যোগাযোগের সেবা দিয়ে আসছে। বৃষ্টি হলেই ছাধ বিহীন ভবনের টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ায়া অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে পারছে না কর্মকর্তারা। সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন থেকে মাত্র বিশ হাত দুরে এ ভবনটি নদী গর্ভে যে কোন সময়ে বিলীন হতে পারে।
এ চিত্র পিরোজপুরের স্বরুপকাঠির কৌরিখাড়া রাজস্ব আয়ের ডাক অফিস ভবনের। সিরাজুল ইসলাম/শাজাহান/মীরাজ হোসেন/নুপুর তারা এলাকার পক্ষ থেকে বলেন, পোষ্ট অফিসটি সংস্কার বা অন্যার্থ সম্প্রসারনের দাবি তুলেন। ঝুকিপূর্ণ ভবনে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাচ্ছেন কৌরিখাড়া পোস্ট মাস্টার ও কর্মচারীরা। ঝোপজাড়ের মধ্যে ঝরার্জীণ ডাক ভবনটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে মাত্র ১০/১২ হাত দুরে থাকলে রীতি মত জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ও পাষ্টমাস্টার আঃ সবুর সরদার তিনি বলেন, ডাকঘরটি স্থানান্তর ও সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ ব্যপারে জানানো হয়েছে। অচিরেই পোষ্ট অফিসটি স্থানান্তর করা একান্ত দরকার ব্রিটিশ আমলে একরুম বিশিষ্ট নির্মিত কৌরিখাড়া ডাক ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও পোষ্ট অফিসের সকল ধরনে কার্যক্রাম চলছে ঝুকিপূর্ণএ ভবনেই।
ভবনের মেঝের মাটির নিচে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ মানি-অর্ডারের টাকা রাখার জন্য পাকা লোহার দুইটি সিন্ধুকে মরিছা ধরে একটি নষ্ট হয়ে গেছে এক যুগ আগেই, মেঝের ফ্লারে পানি উঠলে অন্য সিন্ধুকটিতে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পথে। উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান রনি দত্ত, ইউপি সদস্য রতন বলেন, ইন্টারনেট চালু হওয়ার পূর্বপর্যন্ত পিরোজপুরের স্বরুপকাঠির গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে চিঠি লেখার উৎসব ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকতার ধাপটে পোস্টঅফিস বা ডাকঘর যেন হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। যার কারণে আমাদের এ ডাকঘরটিও অযতেœ – অবহেলায় দীর্ঘকাল ধরে পড়ে আছে। এই আধুনিকতার ছোয়ার আড়ালেই ঐতিহ্যবাহী ডাকঘর টিকিয়ে রাখতে হবে।