Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
কাঁঠালিয়ায় প্রবাসী ও যুবলীগ নেতাকে  কোপানোর ঘটনায় মামলা দায়ের - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

কাঁঠালিয়ায় প্রবাসী ও যুবলীগ নেতাকে  কোপানোর ঘটনায় মামলা দায়ের


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ কাঁঠালিয়ায় প্রবাসী ও যুবলীগ নেতাকে  কোপানোর ঘটনায় মামলা দায়ের
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় প্রবাসী ও যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে  দেয়ার ঘটনায় সেনা সদস্য সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়। আহত মহিউদ্দিনের ভাই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে গত রবিবার কাঠালিয়া থানা মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মানিক মৃধা। উপ-পুলিশ পরিদর্শক মানিক জানান, গত রবিবার দুপুরে নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে আপেল প্রতীক মুরাদ হোসেন এর সমর্থকদের উপর হামলা চালায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর মান্নান হোসেনের সর্মথকরা।এ ঘটনায় কাঠালিয়া থানা মামলা দায়ের হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এদিকে হামলায় আহতরা হলো কৈখালী এলাকার মীর মোশারফ হোসেন খানের ছেলে প্রবাসী মহিউদ্দিন খান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য  সাইফুল ইসলাম সুজন। আহতদের মধ্যে গুরুতর মহীউদ্দীন খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং সাইফুল ইসলাম সুজন আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। হামলায় আহত মহিউদ্দিনের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে এবং ডান হাতের কনুই র উপরে হার কাঁটা জখম রয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শেবাচিমের কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতের বড় ভাই মুরাদ হোসেন খান জানান, মুরাদ হোসেন (স্থগিত হওয়া) ইউপি নির্বাচনের ১ নং চেচরি রামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আপেল মার্কার মেম্বার প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্ধী (বর্তমান মেম্বার) ফুটবল প্রতীকের মান্নান হাওলাদার। ইউপি নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের (আপেল প্রতীক) মুরাদ হোসেনের জনপ্রিয়তার শীর্ষে। যে কারণে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মান্নান ও তার সহযোগীরা নির্বাচনী সহিংসতা চালাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন থেকে সরে যেতে মুরাদ হোসেন কে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্ধী মান্নান ও তার কর্মীসমর্থক সহযোগীরা। প্রায় সময় মুরাদ হোসেন এর কর্মী ও সমর্থকদের উপর বিভিন্ন হামলা মামলার চেষ্টা চালায় মান্নানের কর্মী মোদাচ্ছের তালুকদার ও তার ছেলে সেনাসদস্য আলামিন হসেন মিলন। মিলন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পূর্বে মুরাদ হোসেন ও তার পরিবারকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। ঘটনার দিন দুপুরে মুরাদ হোসেন এর ছোট ভাই প্রবাসী মহিউদ্দিন খান ও তার বন্ধু যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সুজন কে নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজে কৈখালী বাজার ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে যায়। হঠাৎ সেনাসদস্য আল-আমিন হোসেন মিলন ও তার বাবা মোদাচ্ছের সহ পরিবারের সহযোগীরা তাদেরকে পথরোধ করে। একপর্যায়ে আল-আমিন হোসেন মিলন ও তার বাবা মোদাচ্ছের ভাই মাইনুল, তাদের সহযোগী খালেক বেপারী, সুমন মিয়া ফিরোজ মিয়া আলমগীর জমাদ্দার সহ অজ্ঞাত নামা ২০-২৫ জন সহযোগী পরিকল্পিতভাবে মেম্বার প্রার্থী মুরাদ হোসেন এর ভাই মহিউদ্দিন খানকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে-পিটিয়ে হাত ভাঙ্গা সহ তার হারকাটা জখম করে। এ সময় মহিউদ্দিনের সঙ্গী যুবলীগ নেতা সুজন বাঁচাতে আসলে তাকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন মিলন সহ অন্যান্য সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক আমুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেখানে মহিউদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে মহিউদ্দিন হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।