Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 এসএসসি পাসও নন, তবু তিনি মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ - আজকের বার্তা
এসএসসি পাসও নন, তবু তিনি মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১ ১:৪৮ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
নাম তাঁর এম কে এইচ খান বিজয়। বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায়। বিয়ের সুবাদে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। এখান থেকে শুরু করেন প্রতারণা। সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়াশোনা করেছেন জানিয়ে কুষ্টিয়ায় শুরু করেন চিকিৎসাসেবা। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে রোগী দেখে আসছিলেন। কখনো আবার অস্ত্রোপচারও করেন। ব্যবহার করেন দামি প্রাইভেট কার। তবে শেষ রক্ষা হলো না এম কে এইচ খান বিজয়ের। র্যাবের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে। প্রতারণার দায়ে এম কে এইচ খান বিজয়কে দুই বছর কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি যে হাসপাতালে রোগী দেখতেন, সেই হাসপাতালের মালিক সায়েদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এই দ- দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান। তিনি বলেন, এম কে এইচ খান বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ইস্যু করা একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল করে ভুয়া সনদ তৈরি করেন। ওই নম্বর ভেরিফিকেশন করে দেখা যায়, আইডিটি সাতক্ষীরা জেলার একজন চিকিৎসকের, যিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ছাত্র। জিজ্ঞাসাবাদে দ-প্রাপ্ত এম কে এইচ সিলেটের ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেলের ছাত্র বলে দাবি করেন। ওই মেডিকেলে পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু নানা জটিলতায় তিনি কোনো সনদ পাননি। সবকিছু গোপন করে কুষ্টিয়া শহরের বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে ও অপারেশন করে আসছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান আরও বলেন, মূলত তিনি এসএসসি পাসও করেননি। অথচ এমবিবিএস, এমসিপিএস ডিগ্রিধারী মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ দাবি করে আসছিলেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নথিপত্র পর্যালোচনা করে এম কে এইচ খানকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিশ্চিত করেন। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া র্যাব-১২ ক্যাম্পের কমান্ডার মাহফুজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি চিকিৎসক রাকিবুল হাসান প্রমুখ।