Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
বরিশালে বাড়ছে সংক্রমণ,উপেক্ষিত লকডাউন - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বরিশালে বাড়ছে সংক্রমণ,উপেক্ষিত লকডাউন


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ বরিশালে বাড়ছে সংক্রমণ,উপেক্ষিত লকডাউন
Spread the love
শফিক মুন্সি  ॥
করোনা সংক্রমণের উর্ধগতি এখনো বহাল তবিয়তে পুরো দেশজুড়ে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দৌড়ে পিছিয়ে নেই দক্ষিণের বরিশাল। এরই মধ্যে চলমান লকডাউন আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শিথিল হবে এমন সংবাদে জনসমাগম বেড়েছে সর্বত্র। বরিশাল নগরী সহ আশেপাশের জেলা শহরগুলোতে বেড়েছে মানুষের ভীড়, রাস্তা দখলে রেখেছে তিন চাকার যান (রিক্সা, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা প্রভৃতি)। সচেতন মহলের দাবি, যারা লকডাউনের নিয়ম ভাঙছে তারা দুটি দলে বিভক্ত। একটি দল জরুরী খাদ্য চাহিদা পূরণেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে।তাই সরকার যদি খাদ্য সহায়তা নিয়ে এসব মানুষের পাশে দাঁড়ায় তবে হয়তো চলমান লকডাউন কার্যকর ফলাফল আনবে। তবে অন্যদলটি উদাসীনতা দেখিয়ে লকডাউন উপেক্ষা করছে। বরিশালের সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় , চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ১৬০ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছে মাত্র দুইশো ৭১ জন। এই ২২ দিনে বরিশালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,  গতবছর (২০২০) সংক্রমণ শুরুর পর থেকে চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার চারশো ২১ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন একশো চার জন।  তবে সংক্রমণের এমন ভয়াবহতা থামাতে পারে নি মানুষের কর্মব্যস্ততাকে। গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীর সকল রাস্তাগুলোতে ছিল অসংখ্য তিন চাকার যান। যেগুলো শহর ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলোতে যাত্রী পরিবহন করেছে সকাল থেকে। কাঁচাবাজার ও মুদিদোকান খোলা ছিল কোন বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই। রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া নিষেধ থাকলেও সরেজমিনে নগরীর প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি ছোট ও মাঝারি খাবার হোটেলে দেখা গেলো এই বিধিনিষেধের অনুপস্থিতি। এছাড়া ভাসমান ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। চলমান লকডাউনে মসজিদের জামাতে ২০ জনের বেশি মুসল্লি উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে গতকাল শনিবার জোহর (দুপুর) এবং আছরের (বিকেলে) ওয়াক্তে নগরীর কয়েকটি মসজিদে চোখ বুলিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার উপেক্ষা চোখে পড়েছে।  সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, যারা প্রধানত দিনমজুর তাদের জন্য লকডাউনে বাড়িতে বসে থাকা এক প্রকার অসম্ভব। এছাড়া দীর্ঘ একবছরে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জমানো টাকা ও আয় কমে গেছে। তাই এইসকল মানুষকে লকডাউনে বাড়িতে রাখতে হলে অন্তত তাদের খাদ্যের পরিপূর্ণ জোগানের ব্যাপারে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারকে তো অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে কিন্তু সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।তবে কিছু মানুষ অসচেতনতার পরিচয় দিয়ে লকডাউন ভাঙছে। তাদেরকে আইনত দন্ড দেয়া উচিত।   বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা.শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শারীরিক ভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার কোন বিকল্প নেই। এই বিচ্ছিন্নতা কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন জারি করা হয়েছে। কিন্তু অনেকের উদাসীনতা ও অসচেতনতার কারণে পরিপূর্ণভাবে বরিশালে লকডাউন কার্যকর করা যাচ্ছে না। বিষয়টি যেমন দুঃখজনক তেমনি ভয়ানক।  এ ব্যাপারে আলাপকালে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, দোকানপাট খুলে দেবার সরকারি নির্দেশনা জারির পর থেকে হঠাৎ বাড়ির বাইরে বের হওয়া শুরু করেছে সবাই। তবে জনগণের এমন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কারণ সংক্রমণ এখনো কমে যায় নি। তবে সরকারি বিধিনিষেধ মানাতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। সবাইকে আহবান জানাবো, যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে নিরাপদ রাখুন।