Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 হুইপ সামশুলপুত্র শারুনকে গ্রেফতারের দাবি সেই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর - আজকের বার্তা
হুইপ সামশুলপুত্র শারুনকে গ্রেফতারের দাবি সেই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২১ ১:৪৩ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
এবার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম-১২ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।এই হুইপপুত্রসহ অন্য অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল মোরশেদ চৌধুরীর স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান। ইশরাত বলেন, হুইপপুত্র শারুন চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রনেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর অব্যাহত চাপ, হুমকি ও হামলার কারণে নিরুপায় হয়ে আমার স্বামী ব্যাংকার আবদুল মোরশেদ চৌধুরী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ২০১০ সাল থেকে মোরশেদ তার আপন ফুফাতো ভাইদের সঙ্গে ব্যবসা করছিলেন। কোনো নথিপত্র ছাড়া তারা মোরশেদকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেন। পরবর্তীতে তিনিও তাদের ৩৫ কোটি টাকা শোধ করেন। ২০১৮ সালের দিকে এসে তিনি ওই ব্যবসার কথা পরিবারের অন্যদের জানান এবং বলেন তিনি আর ব্যবসাটা করতে চান না।৭ এপ্রিল তিনি আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে ব্যাংকার ৪ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন উল্লেখ করে তার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুইসাইড নোটের একটি অংশে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ আমাকে রক্ষা করবে, আরেকটু দেখি, আরেকটু দেখি করতে করতে দেনার গর্তটা অনেক বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে। যারা কোনো টাকাই পেত না, তাদের দিতে গিয়ে এখন সত্যিকারের দেনায় জর্জরিত। বেঁচে থাকলে এই দেনা আরও বাড়বে। তাছাড়া পরিচিতগুলোই এখন চেপে ধরেছে বেশি। এই লোড আমি আর নিতে পারছি না, সত্যি পারছি না।’ ইশরাত জাহান জানান, তার স্বামীর এ ঘটনার সঙ্গে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরী জড়িত হন ২০১৯ সালের মে মাসে।মে মাসের একদিন শারুন চৌধুরী তার স্বামীকে (মোরশেদ চৌধুরী) ফোন করে রেডিসন হোটেলে দেখা করতে বলেন। মোরশেদ এতে আপত্তি করেন। মোরশেদ তখন বলেন, তার (শারুন চৌধুরীর) সঙ্গে কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন নেই। তারপরও কেন তিনি দেখা করতে বলছেন। জবাবে শারুন চৌধুরী বলেন, লেনদেন নেই, এখন হবে। এর কিছুক্ষণ পরেই শারুন ১০-১২ জন যুবককে নিয়ে তাদের (মোরশেদ) বাসায় যান। ওই সময়ের ভিডিও শারুনকে দেখা না গেলেও মোরশেদের ফুফাতো ভাই পারভেজকে দেখা যায়। তাদের ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের আটকে রেখে ওই যুবকেরা বলে, গাড়ির ভেতরে শারুন চৌধুরী বসে আছেন। ওই সময় মোরশেদ চৌধুরী বাসায় ছিলেন না। তিনি তার আত্মীয় আজম খানের বাসায় ছিলেন। আজম খানই লেনদেনের বিষয়টি দেখভাল করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে আজম খানের বাসায় শারুন চৌধুরীও হাজির হন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকারের স্ত্রী জানান, মোরশেদ চৌধুরীর সঙ্গে শারুন চৌধুরীর সরাসরি কোনো ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল না। হুইপপুত্র পারভেজ ইকবাল ও জাবেদ ইকবালের মাধ্যমে ব্যবসার অর্থ বিনিয়োগ করেন বলে তিনি শুনেছেন। দেশজুড়ে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে শারুন চৌধুরী আত্মগোপনে যান, এরপর থেকে তিনি আর সরাসরি কোনো বৈঠকে হাজির হননি বলে জানান ইশরাত। ইশরাত জাহান সংবাদ সম্মেলনে এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলেছেন, যিনি এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার নাম বিজয় বসাক। ওই সময় তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তরের উপকমিশনার ছিলেন। মোরশেদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিজয় বসাকই টাকা আদায়ের কাজ তত্ত্বাবধান করেছেন। এ বিষয়ে ইশরাত সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ২০১৮ সালে মোরশেদকে তার ফুফাতো ভাইয়েরা এমএম প্যালেসে আটকে রাখেন। তার মাথায় পিস্তল ঠেকান, পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকেও নানাভাবে হেনস্তা করেন। ওই সময় পাঁচলাইশ থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এক বছর পর বাসায় হামলা হলে তারা সরাসরি উপকমিশনার বিজয় বসাকের সঙ্গে দেখা করেন। তার নির্দেশে পাঁচলাইশ থানায় মামলা হয়। ওই ঘটনায় মোরশেদের ফুফাতো ভাই জাবেদ ইকবাল গ্রেফতার হন।পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে বিজয় বসাকের সঙ্গে দেখা করেন। বিজয় বসাক তাঁর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সই করান। ওই চুক্তিপত্র অনুযায়ী, মোরশেদকে ১২ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। যদিও কেন এই টাকা দিতে হবে তা-ই বুঝতে পারছিলেন না মোরশেদ ও তার পরিবার।এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন তারিখে, কত টাকা মোরশেদকে ব্যাংকে জমা দিতে হবে- তা নির্ধারণ করে দিতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিজয় বসাক। ইশরাত আরও জানান, বিজয় বসাক গত ১১ মার্চ মোরশেদকে ফোন করে বাসায় ও ব্যাংকে পুলিশ পাঠিয়ে ধরে আনার হুমকি দেন। ওই অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে।একজন আইনের লোক হয়ে তিনি (বিজয় বসাক) কি এ কাজ করতে পারেন, সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন রাখেন ইশরাত।