আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বাকেরগঞ্জে শিল্পীহীন শিল্পকলায় অশ্লীল নৃত্য, সুধীমহলে নিন্দার ঝড়


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২২ ১:০০ অপরাহ্ণ বাকেরগঞ্জে শিল্পীহীন শিল্পকলায় অশ্লীল নৃত্য, সুধীমহলে নিন্দার ঝড়
Spread the love

সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রনয়ণ দিবস উপলক্ষে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় দুইদিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

কিন্তু এখানে উক্ত অনুষ্ঠানের নামে চলে যাত্রা পালা ও অশ্লীল নৃত্য। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গীতি নাটক ‘দুই বিঘা জমি’ কে এখানে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে সুধী মহলে নিন্দার ঝড় বইছে।

 

সাহেবগঞ্জ এর বাসিন্দা মানবাধিকার কর্মী মোনায়েম হোসেন খোকন খান জানান, বাকেরগঞ্জে নজরুল ও রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের নামে অশ্লীল নৃত্য বেহায়াপনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই অনুষ্ঠানের ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল এই ধরনের নাচ তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা কোন দিকে প্রসারিত করবে বিষয়টা চিন্তা করা উচিত ছিল।

 

এমন অনুষ্ঠান সপরিবারে সবাই মিলে উপভোগ করার মতো নয়। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের ছবি লাগিয়ে অশ্লীলতা তাদের মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেছেন। গত ১৪ অক্টোবর শুক্রবার অনুষ্ঠানের একটি গানের সাথে ভিডিও মদের বোতল হাতে নিয়ে নাচ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হলে কমেন্ড বক্সে নিন্দার ঝড় ওঠে।

 

অনুষ্ঠানের নামে এমন বেহায়াপনার তীব্র নিন্দা জানান উপজেলা বাসি। সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বরুণ কুমার সাহা বলেন অতীতে যত অনুষ্ঠান হয়েছে সেকানে সকলের সমন্বয়ে এ সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো এবং তদারকি করতো, রিহার্সাল দেখতো, এ অনুষ্ঠানে এভাবে কোনকিছু হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

 

এছাড়া ওখানে পুরো অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ইসলামের কোন কবিতা আবৃত্তিও সুচিতে ছিলো না। সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাইমুন হোসাইন জানান, সব সময়ে তাদেরকে সমন্বয় করে অনুষ্ঠান করা হতো এবার তাদেরকে ডাকা হয়নি।

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রনয়ণ দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে এমন বাঈজী নাচ আমার কাছে অশোভনিয় মনে হয়। এখানে রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্যকে মনগড়া উপস্থাপন করে এর মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এগুলো প্রশাসনের আগেই দেখা উচিৎ ছিলো বলেও আমার মনে হয়। শিল্পকলা একটি মাদার সংগঠন তাদের থেকেই সমাজ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা আশা করে কিন্তু তাদের এমন অপ-সংস্কৃতি চর্চা ও প্রশাসনের উদাসিনতা দুঃখজনক।

 

তবে অনেকের ধারণা উপজেলা প্রশাসন ও শিল্পী সমাজে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, ওখানে কোন অশ্লীল নিত্য হয়নি, যেটা হয়েছে সেটা ঐ নাটকের জলসা ঘরের একটা দৃশ্য, আর ঐ সময় আমি ওখানে ছিলাম না।

 

বাকেরগঞ্জের একাধীক গুণী প্রকৃত শিল্পী বলেন, শিল্পকলায় এখন শিল্পী নেই, এটা রাজনৈতিক চাটুকারের দখলে চলে গেছে। যথাস্থানে যদি যেগ্য লোক না থাকে তখন এঘটনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।

 

বায়েজিদ বাপ্পি/বাকেরগঞ্জ