আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

কলাপাড়ায় আমন ফসল হারানোর শঙ্কা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২ ১:০৪ অপরাহ্ণ কলাপাড়ায় আমন ফসল হারানোর শঙ্কা
Spread the love

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের দুই সহস্রাধিক কৃষক পরিবারের আমন ফসল হারানোর শঙ্কায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সেখানকার লাবরখালের সঙ্গে প্রভাবশালী মহলের ব্যক্তিগত স্লুইসহ বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে জোয়ারের পানিতে কৃষকের বেড়ে ওঠা আমন চারায় পচন ধরায় ফসল হারানোর এমন শঙ্কায় পড়েছেন।

 

প্রায় ১৫দিন আগে ৪৪ নম্বর পোল্ডারের আনিপাড়া গ্রামের ওই স্লুইসহ প্রায় ৩০ ফুট বেড়িবাধ ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন ভাঙ্গনের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। স্লুইসহ সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলে যেতে পারছেনা শিশুরা। মানুষ শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

 

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে কৃষকরা তাদের দুরাবস্থার কথা বলেন। মো: মিলন তালুকদার জানান, ১৬/১৭ বছর আগে স্থানীয় এক বিএনপি ও একজন আওয়ামীলীগ নেতা খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ করে পানি তুলে মাছ চাষের জন্য যৌথ উদ্যোগে সরকারি বেড়িবাঁধ কেটে স্লুইস করেন। এরপর জবরদস্তি গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে বছরের পর বছর মাছ শিকার করেন। প্রায় এক বছর আগে এই স্লুইসটির মাটি দেবে যায়। নিচ থেকে সুরঙ্গ হয়ে যায়। পানি ওঠানামা করতে করতে কয়েকদিন আগে সম্পুর্ণ স্লুইসসহ প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ বেড়িবাঁধ সম্পুর্ণভাবে ভেসে গেছে।

 

এখন প্রতিদিন জোয়ারে দুই দফা প্লাবিত হয় আমন চারা। লকলক করে বেড়ে ওঠা আমন চারায় জোয়ারের পানিতে ডুবে এখন পচন ধরেছে। আর এক-দুই সপ্তাহ পরে নদীর পানি লোনা হয়ে যাবে। ওই পানি আমন ক্ষেতে ঢুকে সকল ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

 

কৃষক আরিফ হাওলাদার জানান, বাঁধটি স্লুইসসহ ভেঙ্গে যাওয়ায় আনিপাড়া, গান্ধাপাড়া, কাঠালপাড়া, কাছিমখালী ও নেওয়াপাড়া গ্রামের কৃষকের শত শত একর জমির আমন ফসল পচে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। এখনই পচতে শুরু করেছে। এছাড়া গ্রামের মানুষের যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছে। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না।

 

ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান হাওলাদার জানান, ওটি ব্যক্তিগত স্লুইস থাকায় সমস্যা হয়েছে। তারপরও বাঁধটি মেরামতের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফ হোসেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে কৃষকের আমন ফসল রক্ষায় বাঁধটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যারা বাঁধ কেটে ব্যক্তিগত স্লুইস করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান জানান, কৃষকের আমন ফসল রক্ষায় বিধ্বস্ত বাঁধটি মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই মেরামতের কাজ শুরু হবে।

 

মেজবাহউদ্দিন মাননু/কলাপাড়া