Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114 করোনায় দিশেহারা ভারত, পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে কুম্ভমেলা - আজকের বার্তা
করোনায় দিশেহারা ভারত, পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে কুম্ভমেলা
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২১ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ।।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সবচেযে দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। এরই মধ্যে করোনার দু’টি ধরন একত্রিত হয়ে শক্তিশালী রূপ নিয়ে আঘাত হেনেছে দেশটির ১০টি রাজ্যে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই ১০ রাজ্য। পরিস্থিতি ক্রমেই আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
এমন অবস্থাতেও হরিদ্বারে চলছে কুম্ভমেলা। সেখানে জড়ো হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এই কুম্ভমেলা ভারতের করোনার ‘সুপার স্প্রেডার’ বলা হলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেলা চালিয়ে যেতে অনড় কর্তৃপক্ষ। আয়োজন সংক্ষিপ্তের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
করোনায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এ দেশটিতে গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ মানুষ। মারা গেছেন এক হাজারের বেশি। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
মহারাষ্ট্রে কার্যত লকডাউন। দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে কারফিউ। ব্যতিক্রম শুধু হরিদ্বার। কুম্ভ মেলায় পুণ্যস্নানে জড়ো হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোনো বালাই। সরকারি হিসেবে হরিদ্বারে দুই দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার মানুষ। তারপরও ভিড় কমানোর কোনো চেষ্টা নেই।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরাথ সিং রাওয়াত বলেছেন, মানুষের স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই বলে ধর্মকে অবহেলা করা যাবে না। অথচ এর আগে দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরে দুর্গাপূজার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে ঘরে বসে। অধিকাংশ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়েছে একইভাবে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দিল্লির নিজামুদ্দিনে মুসলিমদের ধর্মীয় সম্মেলনকে দায়ী করা হয়েছিল। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। তাহলে কুম্ভের ক্ষেত্রে কেন অন্য নীতি নেওয়া হল? এমন প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত বলেছেন, কুম্ভের সঙ্গে নিজামুদ্দিনের ঘটনার কোনও তুলনা চলে না। নিজামুদ্দিনে এসেছিলেন মূলত বিদেশিরা। আর কুম্ভে গেছেন দেশের মানুষ। এর সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় আবেগ জড়িয়ে আছে। কুম্ভমেলা কোনওভাবেই সংক্ষিপ্ত করা হবে না বলে এরই মধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যদিও মহারাষ্ট্র সরকার এরই মধ্যে জানিয়েছে, কুম্ভ ফেরতরা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কুম্ভের কারণে করোনা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যেতে পারে। আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। গত একদিনে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখের মতো। আর মারা গেছেন এক হাজারের বেশি।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কোনওভাবেই দেশটিতে লাগাম টানা যাচ্ছে না কোভিড-১৯ এর। দেশটিতে গত একদিনে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। আক্রান্ত ৭৫ হাজারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বাগে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণ। প্রতিদিনই গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ৭০ হাজারের বেশি। ইউরোপের ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা কমলেও হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই অবস্থা জার্মানি ও ইতালির।