লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে ভুয়া তথ্য দিয়ে দীর্ঘদিন সুবিধা নেয়ার পর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা থেকে বাদ পরল ২ হাজার ব্যক্তির নাম। এ কারনে গত সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ৬৬ মেট্রিকটন চাল ফেরৎ গেছে সরকারের কোষাগারে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে এতদিন এসব ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছিল বলে জানা গেছে।
মাষ্টার রোলে ( সুবিধাভোগীর তালিকা) একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম, হতদরিদ্রদের পরিবর্তে জনপ্রতিনিধি, আর্থিক স্বচ্ছল ব্যক্তি, নেতা এবং চাকুরীজীবির নামও রয়েছে এই কর্মসূচীর তালিকায়। শুধু তাই নয়, গত জুলাই মাস থেকে হালনাগাদ অনলাইন মাষ্টার রোল করার ক্ষেত্রেও ইউপি ভবনে থাকা তথ্যসেবা কর্মীদের (উদ্যোগক্তা) মাধ্যমে অনলাইন সার্ভারে দেয়া হয়েছে সুবিধাভোগীদের ভুয়া সব তথ্য। আর এসব অনিয়ম ধরা পরছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে।
জানা গেছে, হালনাগাদ ডাটাবেইজে অবিবাহিত পুরুষকে দেখানো হয়েছে বিপত্নিক, স্বামী আছে এমন নারীকে দেখানো হয়েছে বিধবা অথবা স্বামী পরিত্যাক্তা। এছাড়া পুর্বের ন্যায় এবারও হতদরিদ্র সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সমাজপতি ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ নিয়ে খাদ্য বিভাগের যেন করার কিছু নেই।
এ ব্যপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মালেক জানান, শুরুতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইচ্ছামত সুবিধাভোগী নির্বাচন করার কারনে মূলত এমন সমস্যা হয়েছে। যা এখন ধরা পরছে অনলাইন ডাটাবেইজে। এই ডাটাবেইজেই আসল-নকলের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে। অন্যদিকে বাতিল হচ্ছে সরকারী অন্যান্য সুবিধার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামও।
তিনি আরো জানান, এ ধরনের অনিয়মের কারনে লালমোহন উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ২৪ জন ডিলারের আওতায় ১১ হাজার ৪১২ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৯ হাজার ২১০ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ পরেছে। যার কারনে ৬৬ টন চাল বিতরণ করা যায়নি। ডিলারদের বিক্রয় কেন্দ্রে পরে থাকা অবিতরণকৃত এসব চাল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত অথবা চলতি মাসের চালের সাথে সমন্বয় করা হতে পারে বলেও জানান আব্দুল মালেক।
এসবি মিলন/লালমোহন