ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহম্মদ সোহেল মনজুরকে নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতির ভুমিকাকে কেন্দ্র করে দল এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
এ বিভক্তির পিছনে সভাপতি আহম্মদ সোহেল মনজুরের পিতা সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি মুক্তিযুদ্ধের ৯নম্বর সেক্টরের বেসমারিক প্রধান মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মনজুরের লেখা বইতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বৈরশাসক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
তার লেখা বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চল নামক বইটির ১৩২ নং পৃষ্ঠায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্যকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, এ বইয়ের ৮৫ পাতায় ৭ মার্চ ১২ লক্ষ লোকের জনসভায় শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন একথাও উল্লেখ করেছেন।
শনিবার দুপুরে ভান্ডারিয়ায় একটি অভিযাত হোটেলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে এ বইয়ের লেখনি উপস্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ম. মহিউদ্দিন খান দীপুর সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল কবির লাভলু।
প্রধান অতিথি বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পূর্বে ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, এরপরে কোন কমিটি হয়নি আর এর সভাপতি আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন ১৮ বছরে ১৮ বারও এলাকায় আসেননি। তিনি রাজধানীতে বসবাস করেন।
দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে বিতর্কিত কথা কর্মী সমাবেশে প্রকাশ হওয়ায় আহম্মদ সোহেল মনজুর সুমনের বিরুদ্ধে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ফুঁসে ওঠেন। তারা এহেন সভাপতিকে দল থেকে বহিস্কার চায়।
এসময় আন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন মুন্সি, মনির হাওলাদার, মনোয়ার হোসেন পলাশ, স্বেচ্ছা সেবক দলের উপজেলা সভাপতি মিজানুর রহমান মিলন, জেলা যুবদলের সহ কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বাবু ও হানিফ আল খলিফা প্রমূখ।