আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

পরিবহন সুবিধা নয়তো যাতায়াত ভাতা দিতে হবে ব্যাংকারদের


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২১ ১২:২৪ অপরাহ্ণ পরিবহন সুবিধা নয়তো যাতায়াত ভাতা দিতে হবে ব্যাংকারদের
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ।।
সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংকের আসা-যাওয়ার জন্য বিশেষ যাতায়াত ভাতা পাবেন। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য ব্যাংক নিজস্ব উদ্যোগে পরিবহনের ব্যবস্থা করতে পারবে না, সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ভাতা দিতে হবে। ১৪ এপ্রিল থেকে যত দিন সরকারি বিধিনিষেধ বহাল থাকবে, তত দিন এ বিশেষ যাতায়াত ভাতা পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বৃহস্পতিবার নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ এ নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, ব্যাংক সব ক্ষেত্রে কর্মীদের আসা-যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ব্যাংকের কর্মীরা অফিসে আসা-যাওয়া করতে বাড়তি খরচ ও ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের সমস্যা নিরসনে ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিবহন-সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনায় আরও বলেছে, কোনো কারণে ব্যাংক তার কর্মীদের জন্য পরিবহন-সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সে ক্ষেত্রে যৌক্তিক হারে যাতায়াত ভাতা প্রদান ও পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। এ-সংক্রান্ত ব্যয়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরবর্তী সময়ে অনুমোদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সরকারি বিধিনিষেধের কারণে বর্তমানে সড়কে গণপরিবহন কম। এতে ব্যাংকের কর্মীদের নিজ উদ্যোগে অফিসে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে বাড়তি খরচ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার পর ব্যাংকের কর্মীদের আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হয় পরিবহন-সুবিধা দেবে, নয়তো যৌক্তিক হারে যাতায়াত ভাতা দিতে হবে। সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে ১৪ এপ্রিলের পর থেকে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রয়েছে। যদিও সরকারি আদেশে প্রথমে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে সরকার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে সরকারি বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকের সীমিত লেনদেনের সময়ও ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।