আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২ ২:০৪ অপরাহ্ণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। আমরাও সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে ‘মুক্তির স্বদেশে জাতির পিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

এসময় স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। ২৬ মার্চ পাকিস্তানারি আর্মি আমাদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে বর্তমানে ধানমন্ডি ৯/এ বাড়িটিতে বন্দী করে রাখে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও আমরা মুক্তি পাইনি। সেই একতলা বাড়িটি থেকে আমরা মুক্তি পাই ১৭ ডিসেম্বর।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ৪৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ভাষা আন্দোলনসহ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল তার সেই সংগ্রামের একেকটি অধ্যায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের আশ্রয়সহ সব ব্যবস্থাই তিনি করে গিয়েছিলেন। তাকে (বঙ্গবন্ধু) পাকিস্তানে নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়। দেশদ্রোহী মামলা দেয়া হয়। ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। জেলখানায় তার সেলের পাশে কবর খোড়া হয়। কিন্তু বাঙালি বসে ছিল না। ৭ মার্চের ভাষণকে ধারণ করে ১৬ ডিসেম্বর তারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯মাস আমরা জানতে পারিনি, বাবা বেঁচে আছেন কিনা। ৮ জানুয়ারি প্রথম বাবার ফোন পাই। সেদিনকার সেই অনুভূতি আমি আপনাদের ভাষায় প্রকাশ করে বোঝাতে পারবো না। ১০ তারিখ তিনি ফিরে আসেন। কিন্তু আমাদের কাছে নয়। তিনি সরাসরি জনতার কাছে চলে যান, যে জনগণের জন্য তিনি সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীন একটা রাষ্ট্রের কাঠামো ও আদর্শ নিয়ে। একটা পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমরা তার ভাষণে পেয়েছিলাম। স্বাধীন, সার্বভৌম সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লক্ষ্য। তৃণমূলের মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য তিনি কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড বাঙালির জাতীয় জীবন চিরকলঙ্কের চিহ্ন এঁকে দেয়। সেদিনের সেই হত্যাকাণ্ড কিন্তু একটি পরিবারকে হত্যা নয়। বরং এটা ছিল একটা স্বাধীন দেশের চেতনাকে হত্যা করা।