ঈদে বন্ধ দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন, বেকায়দায় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা
আজকের বার্তা |
প্রকাশিত: মে ০৩, ২০২১ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
শফিক মুন্সি ॥
করোনা সংক্রমণ রুখতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় আন্তঃজেলা সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। এ সময় নজরদারিতে রাখা হবে বিপণী বিতান ও শপিংমল গুলো।সংক্রমণ বাড়লে কিংবা স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হলে বন্ধ করে দেয়া হবে সেগুলো। তবে এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে বরিশালের পরিবহন সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকেরা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের লকডাউনের সময় বৃদ্ধির কথা জানান। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউনের বর্ধিত সময় পর্যন্ত কোনো ধরণের দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ বা ট্রেন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। এতে ঈদ উপলক্ষে সৃষ্ট হতে যাওয়া জনস্রোত রুখতে পারবে বলে মনে করছে সরকার। তবে বরিশালের আঞ্চলিক পরিবহন খাতের নেতারা সরকারের কাছে অন্তত কিছুটা আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। বরিশাল পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি ঈমান হোসেন কালু জানান, তাদের ধারণা ছিল ৬ই মে থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যান চলাচল শুরু করা হবে।ঈদের মৌসুমে অন্তত বাস চালিয়ে গত ৫ই এপ্রিল থেকে বাস বন্ধ রাখার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠবে। কিন্তু সে সুযোগ না থাকায় এখন বড় ধরণের আর্থিক সংকটে পরতে যাচ্ছেন বাস মালিকেরা। এই সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেবার আবেদন করেন তিনি। বরিশাল জেলা বাস- মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন,এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে পরিবহন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমিকেরা। তবে করোনা পরিস্থিতির কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। প্রাণঘাতি ভাইরাসটি থেকে মুক্ত থাকতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা সেটিকে সাধুবাদ জানাই।তবে রোজগার বন্ধ হওয়া পরিবহন শ্রমিকদের জন্য সরকার সহায়তা প্রদান করবে এই প্রত্যাশা করছি৷ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সহ বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে দূরপাল্লার যান চলাচল ও জনসমাগম বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই। তবে লকডাউনে যারাই আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।বরিশালের পরিবহন খাতের সকলকেও সরকারি সাহায্যের আওতায় আনা হচ্ছে।