বার্তা ডেস্ক ॥ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে দুমকিতে স্বাভাবিকের তুলনায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। এ ছাড়া কর্মসূচি পালনে মাঠে দেখা যায়নি বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
পটুয়াখালী তথা দুমকির প্রবেশদ্বার লেবুখালির পায়রা সেতুর টোল প্লাজা ছাড়াও চরগরবদি ফেরিঘাট, বোর্ড অফিস বাজার, তালতলি বাজার, রাজাখালী, নতুন বাজার, সাতানী বাজার, লেবুখালী পাগলার মোড় এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার পরিবহন চলাচল কিছুটা কম হলেও বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-বাউফল রুটে যান চলাচল ছিল আগের মতোই।
বগা ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকা-বাউফল, ঢাকা-দশমিনায় চলাচলকরী চেয়ারম্যান, তেতুলিয়া, মুন, ডলফিন ও বেপারী পরিবহনের গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পায়রা সেতুর টোল প্লাজার সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকার পরিবহন চলাচল কিছুটা কম হলেও অভ্যন্তরীণ রুটে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
দুমকি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে হরতাল পালন করছি।
মাঠে কোনো নেতাকর্মীদের দেখা না পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মাঠে আছি। আন্দোলন তো একদিনে শেষ হয়ে যায়নি? জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশি হয়রানি থেকে রেহাই পেতে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে চলাচল করতে না পারলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।