আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

‘মোখা মোগো এলাকায় আইবে না ইনশাআল্লাহ’


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩ ১:২৯ অপরাহ্ণ ‘মোখা মোগো এলাকায় আইবে না ইনশাআল্লাহ’
Spread the love

গেল কয়েকদিন ধরেই ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে দেশ। মোখা নিয়ে প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। বিভিন্ন ধরনের সংকেতসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সতর্ক করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, সতর্কবার্তার বাইরেও নিজের অভিজ্ঞতাকে বড় করে দেখছেন বরগুনার পাথরঘাটার জেলে আবদুল জব্বার হাওলাদার। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, মোখা পাথরঘাটায় আসবে না, কোনো ক্ষয়ক্ষতিও করবে না।

 

আবদুল জব্বার হাওলাদারের বয়স এখন ৬৫। পূর্বপুরুষের দেখাদেখি ১০ বছর বয়স থেকেই সাগরে যাচ্ছেন তিনি। সাগরের সঙ্গে ৫৫ বছরের যোগাযোগ তার। নিজের সেই অভিজ্ঞতার আলোকে জব্বার বলেন, ‘মোখা মোগো এলাকায় আইবে না ইনশাআল্লাহ।’ কেমন এমনটা বলছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উতরা বাতাস আইছে… পানি আইবে না… বাতাসও অইবে না! ইনশাআল্লাহ। আমরা আবহাওয়া বাস্তবে দেখি, বাস্তবতার প্রেক্ষিতে কথা বলি। ’

 

আব্দুর জব্বার বলেন, ‘১০ থেকে ১২ বছর যখন বয়স তখন‌ থেকেই নদী ও সাগরে মাছ ধরি। সাগরে মাছ ধরার সময় অনেকবার বন্যার মধ্যে পড়েছি। ছয় বার ভাসতে ভাসতে হাতিয়া এলাকায় গেছি। দুই বার বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারত ও মায়ানমারের সীমানায় নিয়ে গেছে পানিতে ভাসিয়ে। তখন অনেকে বাতাস দেখছি, তুফান কি তা বলে বোঝানো যাবে না। ’

 

জব্বার আরও বলেন, ‘যখন দেখবেন দক্ষিণা বাতাস হবে তখন বৃষ্টি, পানি বাড়বে। যখন উত্তরমুখী বাতাস হবে তখন বুঝতে হবে পানির চাপ কমবে, ভারী বাতাস হবে না। এই যেমন ধরেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’…। পাথরঘাটায় সকাল থেকেই সূর্যের আলো দেখা যায়নি, দুপুর থেকেই‌ উতরা বাতাস বইছে। ওদিকে কক্সবাজারে নাকি শুরু হয়ে গেছে বন্যা। পাথরঘাটার সাথে কক্সবাজারের পার্থক্য করলেই বুঝা যাবে। ’

 

তিনি তার বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়েই বলেন, ‘দেখবেন ইনশাআল্লাহ পাথরঘাটায় মোখার কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা সাগরে পানির রঙ দেখে মাছ শিকার করি, আকাশের ঢং দেখে আবহাওয়ার অবস্থা বুঝি। ’

 

এদিকে বিকেলে কক্সবাজার অতিক্রম করবে মোখা এমন তথ্য দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজারে ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।

 

অপরদিকে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার আকাশে সকাল থেকেই সূর্যের আলো দেখা যায়নি। ‌সকাল‌ থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম থাকলেও দুপুরের পর কিছুটা গরম কমে যাওয়ায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।