ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’ এখন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার পোনা নদীর তীরে। এ উপজেলার বাসিন্দাদের নাম মাত্র ফি-তে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জীবন তরীর চিকিৎসা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসা পেয়ে প্রান্তিক লোকজন সন্তুষ্ট।
আগামী তিন মাস (নভেম্বর পর্যন্ত) ভান্ডারিয়া পোনা নদীর তীরে অবস্থান করে ভান্ডারিয়া সহ জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
ভাসমান ‘জীবন তরী’ হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন ও মো. রুহুল আমিন জানান, ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে চারজন চিকিৎসক রয়েছেন। রয়েছে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ সার্জন। স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন ও ফ্যাকো সার্জারির ব্যবস্থা, নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর পা, বাঁকা পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা, মাজাব্যথা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।
এছাড়া, বিকালঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী দেয়া হবে ভাসমান এই হাসপাতাল থেকে। ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের প্লাস্টিক সার্জারি বিনামূল্যে করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানান, ভান্ডারিয়া অবস্থান কালে প্রতিবন্ধিতা রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় শিক্ষক, ইমাম, সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পল্লী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
৫০ টাকার টিকেট কেটে চিকিৎসা নেয়া যাবে এ হাসপাতাল থেকে। তবে অপারেশনের পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলাদা খরচ বহন করতে হবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। অপারেশনের পর রোগীরা ভাসমান হাসপাতালেই থাকবেন এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবেন।
মো: মামুন হোসেন/ভান্ডারিয়া